
নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও ॥ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত গেজেটে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর তালিকা অস্পষ্টতার কারণে স্থানীয় হিন্দু বর্মন সম্প্রদায়ের মধ্যে “ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সনদপত্র” প্রদানের প্রতিবাদে ও সদনপত্র প্রদান বন্ধ করার দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার ঠাকুরগাঁয়ে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচী পালন করেছে আদিবাসী ছাত্র পরিষদ জেলা শাখা।
দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন কর্মসূচীতে অংশগ্রহণকারীগণ। মানববন্ধন চলাকালে আদিবাসী ছাত্র পরিষদ জেলা শাখার সভাপতি বিশুরাম র্মুমু’র সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, পরিষদের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ইমরান হোসেন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সুজন কুজুরসহ আরো অনেকে।
বক্তাগন বলেন, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয় ২০১৯ সালের ২৩ মার্চ এস.আর.ও নং-৭৮ আইন/২০১৯। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, আইন ২০১০ (২০১০ সনের ২৩ নং আইন) এর ধারা ১৯ এ প্রদত্ত ক্ষমতা বলে সরকার উক্ত আইনের তফসিলের পরিবর্তে ৫০টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী নামের তালিকা প্রকাশ করে। প্রদত্ত গেজেটে যে সকল ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাদের মধ্যে একটি হলো কোচ বর্মন সম্প্রদায় । যারা বৃহত্তর ময়মনসিংহ, গাজীপুর, টাংগাইল ও ঢাকা জেলায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন এবং তাদের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি রয়েছে । এরা হলো কোচ বর্মন সম্প্রদায় ভুক্ত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী। কিন্তু গেজেটে অস্পষ্টতার কারণে সমতলের কিছু সুযোগ সন্ধানী মহল নিজেদের কোচ বর্মন বা রাজবংশী বর্মন সম্প্রদায় দাবী করে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর সনদপত্র গ্রহণ করছে, যাদের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি, ইতহাস, ঐতিহ্য নেই। তারা মুলত হিন্দু ক্ষত্রিয় সম্প্রদায়ের লোকজন। এসব সুযোগ সন্ধানী মহল নিজের সাধ্য সিদ্ধীর উদ্দেশ্যে নিজেদের ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী দাবী করছে। এতে প্রকৃত ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর স্বার্থ ক্ষুন্ন হচ্ছে এবং সরকার কর্তৃক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই প্রকৃত ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য হিন্দু ক্ষত্রিয় সম্প্রদায়ের মানুষদের সনদপ্রত্র প্রদান না করার দাবি জানান তারা। অবিলম্বে তাদের এই দাবি মানা না হলে ভবিষ্যতে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন বক্তাগণ।