স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিশ্বখ্যাত প্রাক্তন ফুটবলার দিয়াগো ম্যারাডোনা এখন আর্জেন্টিনার বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। কোভিড-১৯ এবং নিজের জটিল শারীরিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে চার দেয়ালের বাইরে বেরোচ্ছেন না তিনি। এমনকি সংস্পর্শে আসছেন না বাড়ির সদস্যদেরও।
নিজের দেশের জিমন্যাসিয়া ডেলা প্লাটা ক্লাবে এখন কোচের দায়িত্বে রয়েছেন ম্যারাডোনা। করোনার জন্য আর্জেন্তিনাতে ফুটবল বন্ধ হয়ে গেছে অনেক আগেই। তারপর থেকেই কঠোরভাবে নিজেকে গৃহবন্দী রেখেছেন ছিয়াশির বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক। জিমন্যাসিয়া ক্লাবের প্রেসিডেন্ট গ্র্যাবিয়েল ফেলেগ্রিনো ‘দ্য সানকে’ দেয়া সাক্ষাতকারে বলেছেন, ’৫৯ বছরের ম্যারাডোনা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। তাই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বাড়িতে নিজেকে আলাদা করে রেখেছেন তিনি। এমনিতে গোটা বিশ্বে কোভিড-১৯ এর মহাসংক্রমণের সময়ে ম্যারাডোনা হাইরিস্ক জোনে রয়েছেন। কোনভাবে করোনায় আক্রান্ত হলে ম্যারাডোনার শারীরিক সঙ্কট বেড়ে যাবে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি ঘরের মধ্যে গুটিয়ে রেখেছেন নিজেকে। যা খবর পাওয়া গেছে তাতে ভালই আছেন বিশ্ব ফুটবলের রাজপুত্র। চিকিৎসকরা নিয়মিত তার শারীরিক অবস্থার পর্যবেক্ষণ করছেন।
এদিকে, করোনার প্রকোপে ঘোর মন্দা দেখা দিয়েছে বিশ্ব ফুটবল জগতে। ম্যারাডোনার ক্লাব জিমন্যাসিয়া ডেলা প্লাটা ক্লাবের ম্যানেজমেন্ট ফুটবলার ও সাপোর্ট স্টাফদের বেতন কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে। এই বিষয়ে কোয়ারেন্টাইনে থাকা অবস্থাতেই প্রতিক্রয়া দিতে গিয়ে ম্যারাডোনা বলেছেন, ‘করোনার প্রকোপে পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে বেতন কাটছাঁট করার প্রস্তাব ভেবে দেখা যেতেই পারে। বেতন কমাতে আমার কোনও অসুবিধা নেই। তবে করোনার প্রকোপকে সামনে রেখে বিশ্বের বেশ কিছু ক্লাব ফুটবলারদের পেমেন্ট আত্মসাত করতে চাইছে। এটা কোনভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। ক্লাব কর্মকর্তাদের সমস্যা আমি বুঝতে পারছি। কিন্তু তাই বলে মাসের শেষে বেতন না দেয়ার প্রবণতা খুব খারাপ। ফুটবলাররা সকলেই পেশাদার। অনেক ফুটবলার রয়েছে যাদের উপার্জনে সংসার চলে। তাই কোভিড-১৯ ভাইরাসের বিশ্বব্যাপী সংক্রমণকে সামনে রেখে ফুটবলারদের এ ভাবে আর্থিকভাবে বঞ্চিত করা উচিত নয়।
ঢাকা, বাংলাদেশ শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১
