ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১২ জুন ২০২৫, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

নেশন্স লিগের সিংহাসনে পর্তুগাল

স্পোর্টস রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২৩:২২, ১০ জুন ২০২৫

নেশন্স লিগের সিংহাসনে পর্তুগাল

উয়েফা নেশন্স লিগের ট্রফি নিয়ে পর্তুগালের ফুটবলারদের উচ্ছ্বাস

আরও একবার উয়েফা নেশন্স লিগের শিরোপা জয় করেছে ‘ইউরোপের ব্রাজিল’খ্যাত দেশ পর্তুগাল। রবিবার রাতে ফাইনাল ম্যাচে ভাগ্যনির্ধারণী টাইব্রেকারে স্পেনকে ৫-৩ গোলে হারিয়ে এ কৃতিত্ব দেখিয়েছে ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর দল। জার্মানির মিউনিখের বিখ্যাত অ্যালিয়েঞ্জ অ্যারেনায় অনুষ্ঠিত ম্যাচের নির্ধারিত ৯০ ও অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের খেলা ২-২ গোলে অমীমাংসিত থাকে। এরপর পেনাল্টি শূটআউটে শেষ হাসি হাসেন পর্তুগীজ তারকারা। আর হতাশায় ন্যুয়ে পড়েন ইয়ামাল, পেদ্রিরা। 
শূটআউটে পর্তুগালের হয়ে গোল করেন গন্সালো রামোস, ভিক্টর ভিটিনহা, ব্রুনো ফার্নান্দেজ, নুনো মেন্দেস ও রুবেন নেভেস। স্পেনের হয়ে প্রথম তিন শটে জালে দেখা পান মিকেল মেরিনো, আলেক্স বায়েনা ও ইস্কো। চতুর্থ শটে অধিনায়ক আলভারো মোরাটা গোল করতে ব্যর্থ হন। এর আগে মূল ম?্যাচে ২১ মিনিটে মার্টিন জুবিমেন্দি ও ৪৫ মিনিটে মিকেল ওয়াইরসাবালের গোলে দুইবার এগিয়ে যায় স্পেন। কিন্তু ২৬ মিনিটে নুনো মেন্দেস ও ৬১ মিনিটে অধিনায়ক রোনাল্ডোর গোলে দুইবারই সমতা ফেরায় পর্তুগাল। ম?্যাচে চারটি দারুণ সেভ করা পর্তুগীজ গোলরক্ষক দিয়াগো কোস্টা টাইব্রেকারেও মেলে ধরেন নিজেকে।

তার বীরত্বে নেশন্স লিগে প্রথম দল হিসেবে একাধিক শিরোপা জিয়ের কীর্তি গড়েছে পর্তুগাল। ২০১৮-১৯ মৌসুমে প্রথম আসরে শিরোপা জিতেছিল পর্তুগাল। মিউনিখে ম্যাচের শেষ দিকে মূল স্ট্যান্ডের দ্বিতীয় তলা থেকে নিচের সিটিং এরিয়ায় পড়ে যান এক দর্শক। খেলা চলতে থাকে। আহত দর্শককে চিকিৎসা দেন প্যারামেডিকস ও স্টেডিয়ামের স্টুয়ার্ডরা। তবে ওই দর্শককে বাঁচানো যায়নি বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে উয়েফা। ফাইনালে নুনো মেন্দেসের মূল চ্যালেঞ্জ ছিল স্পেনের প্রাণভোমরা লামিনে ইয়ামালকে আটকানো। টুর্নামেন্ট থেকে তার ও তাদের চাওয়া ছিল শিরোপা জয় করা। দেশের জন্য, রোনাল্ডোর জন্য। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে দুটি লক্ষ্যই পূরণ করেছেন তরুণ লেফট ব্যাক। তার আনন্দও তাই যেন ছুঁতে চাইছে আকাশ। পর্তুগাল ও স্পেনের নেশন্স কাপের ফাইনালে দুই দলে তারকার অভাব ছিল না। 
সেখানে তারকার ধারে-ভারে নুনো মেন্দেস একটু পেছনের সারিতেই ছিলেন। কিন্তু পারফরম্যান্সের দ্যুতিতে সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছেন তিনিই। পর্তুগালের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হতে পারতেন যিনি, সেই ইয়ামালকে এক রকম পকেটবন্দি করে রাখেন মেন্দেস। নিজে দুর্দান্ত এক গোল করে সমতায় ফেরান দলকে। ম্যাচজুড়ে পারফর্ম করেন সমানতালে। টাইব্রেকারেও তার নিখুঁত গতিময় শটের জবাব ছিল না স্পেন গোলরক্ষকের। অসাধারণ পারফরম্যান্সে ফাইনালের ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন ২২ বছর বয়সী লেফট ব্যাক।

×