
লর্ডসে ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন দুই অধিনায়ক অস্ট্রেলিয়ার প্যাট কামিন্স ও টেম্বা বাভুমার (ডানে)
কখনো ভাগ্যের ফাঁড়ায়, কখনো বা হিসাবের ভুলে- আইসিসির টুর্নামেন্টে নকআউটে একের পর এক হতাশার ইতিহাস সঙ্গী করে প্রোটিয়াদের ভাগ্যে জুটেছে কেবল ‘চোকার’ তকমা! ক্রিকেটের মক্কা লর্ডসে আজ শুরু হচ্ছে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় আসরের ফাইনাল। একদিকে টেম্বা বাভুমার নেতৃত্বে ভাগ্যবিড়ম্বিত দক্ষিণ আফ্রিকা, অন্যদিকে প্যাট কামিবেন্সর অদম্য অস্ট্রেলিয়া। আইসিসি ইভেন্টের ফাইনাল মানেই জয়জয়কার। টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়াতে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালে।
২০১৯-২০২১ প্রথম চক্রের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জয় করে নিউজিল্যান্ড। ২০২১-২০২৩ দ্বিতীয় চক্রের ভারতকে ফের হতাশায় ডুবিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় অস্ট্রেলিয়া। বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি এবারের ফাইনালের নাম দিয়েছে ‘দা আল্টিমেট টেস্ট’। খেলা শুরু বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে তিনটায়।
এবারই প্রথমবারের মতো টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে খেলছে দক্ষিণ আফ্রিকা। অস্ট্রেলিয়া এই আসরের ‘ডিফেন্ডিং’ চ্যাম্পিয়ন। সবার শীর্ষে থেকে ফাইনালে উঠেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০২৩-২০২৫ চক্রে ১২ ম্যাচে ৬৯.৪৪ পার্সেন্টেজ পয়েন্ট প্রোটিয়াদের। ১৯ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার পার্সেন্টেজ পয়েন্ট ৬৭.৫৪। ১৯০২ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত মুখোমুখি ১০১ টেস্টের ৫৪টিতে জিতে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া। আর ২৬টিতে জয় পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই দলের অতীতের লড়াইয়ে ২১টি টেস্ট ড্র হয়। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স বলেন, ‘বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলতে পেরে আমরা অত্যন্ত গর্বিত, বিশেষ করে লর্ডসের মতো ঐতিহ্যবাহী স্টেডিয়ামে ফাইনাল হচ্ছে।
এটি গত দুই বছর ধরে যারা ফাইনালে পৌঁছানোর জন্য অবিশ্বাস্যভাবে কঠোর পরিশ্রম করেছেন তাদের সকলের জন্য একটি ভালো সুযোগ, যা আমাদের সকলের জন্য সম্মানের।’ দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা বলেন, ‘বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠতে পেরে আমরা সত্যিই আনন্দিত, যা আমাদের জন্য আইসিসির শিরোপা জয়ের একটি ভালো সুযোগ। আমরা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আমাদের সেরাটা দিয়ে লড়াই করব।’
আর আইসিসির মঞ্চে নিজেদের চিরায়ত চোক করা নিয়ে এক প্রশ্নে জবাবে প্রোটিয়া কোচ শুকরি কোনার্ড বলেন,‘যেহেতু ট্রফির লড়াইয়ে নামতে যাচ্ছি আমরা, অনেকেই বলছেন যে আমরা পারব না (ফাইনালে চোক করব)। তবে আমার মনে হয়, টেস্ট ক্রিকেটে ব্যাপারটি ভিন্ন। এটা খেলা হয় অনেক লম্বা সময় ধরে। এখানে ম্যাচের নানা সময়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলি নিজেদের করে নিতে হয়।’