স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ইনজুরির জন্য আরব আমিরাতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট থেকে ছিটকে গেলেন ইনফর্ম পাকিস্তানী ব্যাটসম্যান আজহার আলি। সাম্প্রতিক সময়ে দলের সাফল্যে ব্যাট হাতে ৩০ বছর বয়সি পাঞ্জাব উইলোবাজের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ বছর ৫ টেস্টে ১ ডাবল সেঞ্চুরি, ১ সেঞ্চুরি ও ২ হাফ সেঞ্চুরির সাহায্যে করেছেন ৫৪২ রান। ইংল্যান্ডের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সিরিজের প্রথম টেস্টেই দুরন্ত এই ব্যাটসম্যানকে পাচ্ছেন না অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক। আজহারের ইনজুরির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ম্যানেজার ইন্তিখাব আলম। সদ্য সমাপ্ত জিম্বাবুইয়ে সফরে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে পায়ের আঙুলে ব্যথা পান তিনি।
ইন্তিখাব বলেন, ‘আজহারের আঙুলের চোট সেরে ওঠার পথে। কিন্তু এখনো স্বচ্ছন্দে কেডস পরতে পারছে না। সুতরাং আমরা ঝুঁকি নিতে চাই না। আবুধাবির প্রথম টেস্টে ওকে ছাড়াই নামতে হচ্ছে।’ ২০১০ সালে অভিষেকের পর থেকে টেস্টের নিয়মিত সদস্য আজহারকে গত বাংলাদেশ সফরে হুট করেই ওয়ানডে অধিনায়ক করা হয়। সেই থেকে ওয়ানডে-টেস্টে দুই ঘারানাতেই দলের নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। রঙিন পোশাকের পঞ্চাশ ওভারে ‘লিডিং ফ্রম দ্য ফ্রন্ট’, সাদা পোশাকেও হয়ে উঠেছেন নির্ভরতার প্রতীক। ৪৪ টেস্টে ৪৪ গড়ে রান ৩৩৯৩। সেঞ্চুরি ৯, হাফ সেঞ্চুরি ২০টি। মে মাসে ঢাকা টেস্টে খেলেন ক্যারিয়ারসেরা ২২৬ রানের অনবদ্য ইনিংস। আমিরাতে উড়ে আসার আগে জিম্বাবুইয়ে সফরের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আঙুলে চোট পান। ফলে তৃতীয় ম্যাচে খেলতে পারেননি তিনি। দলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান বলেই আজহারকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে চাইছে না পাকিস্তান ম্যানেজমেন্ট। ইন্তিখাব আরও যোগ করেন, ‘ও ওয়ানডের অধিনায়ক, দুই ভার্সনেই দলের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন। হয়ত ব্যথানাশক ইনজেকশন নিয়ে জুতা পায়ে গলানো সম্ভব। কিন্তু আমরা একদমই ঝুঁকি নিতে চাই না। আশা করছি দুবাইয়ের দ্বিতীয় টেস্টে পুরোপুরি ফিট হয়ে ফিরতে পারবে।’ আমিরাতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন টেস্টের সিরিজ শেষে চার ওয়ানডে ও তিনটি টি২০ খেলবে পাকিস্তান। মঙ্গলবার আবুধাবিতে প্রথম টেস্ট, দুবাইয়ে দ্বিতীয়টি ২২ অক্টোবর এবং শারজায় তৃতীয় ও শেষ টেস্ট শুরু ১ নবেম্বর। ২০১০ সালে এই আমিরাতেই ইংল্যান্ডকে টেস্টে ৩-০তে ‘হোয়াইটওয়াশ’ করেছিল পাকিস্তান। সেবার ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল নবীন আজহারের। তার অনুপস্থিতি এবার প্রথম টেস্টে প্রতিপক্ষ ইংলিশ বোলারদের কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে।
আবুধাবি টেস্টে তিন নম্বর পজিশনে আজহারের স্থলে আহমেদ শেহজাদ অথবা মোহাম্মদ হাফিজের যে কাউকে দেখা যাবে। শ্রীলঙ্কা সফরে পাল্লেকেলে টেস্টে সেঞ্চুরি হাঁকানোয় শান মাসুদের ওপেনিং পজিশন নিশ্চিত। এখানে শেহজাদ অথবা হাফিজের মধ্যে কাউকে ওপেন করতে দেখা যাবে। ২০১০ সালে আগের সফরে হারের বদলাই কেবল নয়, সম্প্রতি ঘরের মাটিতে অস্ট্রেলিয়াকে ৩-২এ হারিয়ে ঐতিহ্যের এ্যাশেজ পুনরুদ্ধার করে এ্যালিস্টার কুকের ইংল্যান্ড। সেটি যে ফ্লুক ছিল না তা প্রমাণ করতে এই সিরিজটা ইংলিশদের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ। কারণ দ্বিতীয় হোম ভেন্যু হয়ে ওঠা আমিরাত পাকিস্তানের পয়মন্ত ভেন্যু। এখানে বরাবরই দুরন্ত-দুর্বার মিসবাহ বাহিনী।