
ছবিঃ সংগৃহীত
মিথ্যা ধরতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন? আপনার আশেপাশের কেউ কি সত্য বলছে, না কি চালাকি করছে—এই প্রশ্নটা প্রায়ই ঘোরে মাথায়? কিন্তু জানেন কি, মিথ্যা বললে আমাদের শরীরে ঘটে যায় এমন এক পরিবর্তন, যা চোখে না পড়লেও তাপমাত্রায় ধরা পড়ে যায়!
বিজ্ঞান বলছে, মানুষ যখন মিথ্যা বলে, তখন তার নাক ও চোখের কোণের আশপাশে তাপমাত্রা বেড়ে যায়। এ ঘটনাকে বলা হয় “পিনোকিও ইফেক্ট”।
'পিনোকিও' শুধু গল্প নয়, বৈজ্ঞানিক বাস্তবতাও!
Science Daily-তে প্রকাশিত এক গবেষণা অনুযায়ী, যখন কেউ মিথ্যা বলে, তখন তার নাকের চারপাশ এবং চোখের ভেতরের কোণ অংশের পেশিতে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। গবেষকেরা জানিয়েছেন, অরবিটাল মাসল নামের এই অংশটি মিথ্যার সময় স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
শরীর বলে দেয় মনের কথা!
গবেষণায় আরও বলা হয়, কঠিন মানসিক কাজ করার সময় মানুষের মুখের তাপমাত্রা কমে যায়, কিন্তু যারা উদ্বেগ বা মানসিক চাপ অনুভব করেন, তাদের মুখমণ্ডলের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। মিথ্যা বলাও এমন এক মানসিক চাপের ফল, যা শরীরে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
তাই অনেক সময় দেখা যায়, কেউ মিথ্যা বলার সময় নাক ঘষছে বা চুলকাচ্ছে। এটি নাকের অস্বস্তির প্রকাশ মাত্র নয়, বরং গোপন উত্তাপের প্রতিফলন।
সবাইই কি মিথ্যা বলেন?
জীবনের নানা মুহূর্তে প্রায় সবাই ছোট-বড়, ক্ষতিকর বা নিরীহ মিথ্যা বলে থাকেন। কারও কাছে তা হয়তো একটি অভ্যাস, আবার কেউ পরিস্থিতির চাপে পড়ে মিথ্যার আশ্রয় নেন। কিন্তু শরীরের অজান্তেই এই মিথ্যা নিজেকে প্রকাশ করে দেয়।
পরীক্ষা করে দেখুন!
আপনি নিজেই একবার চেষ্টা করে দেখতে পারেন—কোনো সাধারণ প্রশ্নে ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা বলার সময় আপনার নাকের চারপাশ গরম হচ্ছে কি না।
শেষ কথা
মুখে না বললেও শরীর বলছে অনেক কিছু। তাই ভবিষ্যতে যদি আপনি কোনো মিথ্যাবাদীকে ধরতে চান, তবে নজর দিন তার চোখ আর নাকের দিকে। কে জানে, সেখানেই হয়তো লুকিয়ে রয়েছে সত্যের চাবিকাঠি!
ইমরান