
ছবি: সংগৃহীত
দীর্ঘক্ষণ একই কানে ফোন ব্যবহার করলে শ্রবণ শক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। একইসঙ্গে মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট অংশে অতিরিক্ত চাপ পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। সাম্প্রতিক গবেষণাগুলো বলছে, নির্দিষ্ট একটি কানে ফোন ধরার কিছু ঝুঁকি ও কিছু সুবিধাও রয়েছে।
বর্তমানে স্মার্টফোন আমাদের নিত্যদিনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলা এখন অনেকের দৈনন্দিন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। তবে অনেকেই জানেন না—ফোনে কথা বলার সময় কোন কানে ফোন ধরা উচিত, কিংবা পালাক্রমে দুই কান ব্যবহার আদৌ প্রয়োজন কিনা।
ডান কানে ফোন ধরা তুলনামূলক নিরাপদ?
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, বেশিরভাগ ডান হাতি মানুষ স্বাভাবিকভাবেই ডান কানে ফোন ধরেন। তবে কিছু বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা বলছে—ফোন ব্যবহারে বাম কানের তুলনায় ডান কান অপেক্ষাকৃত নিরাপদ।
হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল-এর গবেষণায় বলা হয়েছে, মস্তিষ্কের ডানদিক ও বামদিকের কার্যকারিতা ভিন্ন। ফলে বাম কানে ফোন ব্যবহার করলে সরাসরি মস্তিষ্কের ডান অংশের উপর রেডিয়েশনের প্রভাব পড়ে। গবেষকদের মতে, এই প্রভাব দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিকর হতে পারে।
শ্রবণশক্তির উপর প্রভাব ফেলে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভ
ফোনে কথা বলার সময় ফোন থেকে নির্গত ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভ ধীরে ধীরে কানের শ্রবণ কোষের উপর চাপ সৃষ্টি করে। তাই চিকিৎসকরা বলছেন,
“দীর্ঘক্ষণ ফোনে কথা বললে শ্রবণ শক্তির উপর চাপ পড়ে। তাই একটানা ফোনে কথা বলা থেকে বিরত থাকতে হবে। আর একই কানে বারবার ফোন ব্যবহার না করে পালাক্রমে দুই কানে পরিবর্তন করা উচিত।”
ডান কান, না বাম কান?
গবেষকরা বলছেন, যদি সম্ভব হয়, ডান কান বেশি ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে দীর্ঘ সময় এক কানে ফোন ধরলে সেটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই তারা পরামর্শ দিচ্ছেন—সচেতনভাবে দুই কানে পালাক্রমে ব্যবহার করা, এবং হ্যান্ড ফ্রি বা ব্লুটুথ হেডসেটের মতো বিকল্প প্রযুক্তি ব্যবহারের।
ফরিদ