
ছবি: সংগৃহীত
সম্প্রতি সাইবার নিরাপত্তা গবেষকরা লক্ষ্য করেন, কিছু সরকারি কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ, প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও সাংবাদিকের স্মার্টফোনে অদ্ভুতভাবে সফটওয়্যার ক্র্যাশ হচ্ছিল। পরে জানা যায়, এটি একটি জটিল সাইবার হামলার অংশ, যেখানে ব্যবহারকারী কিছু না করলেও হ্যাকাররা ফোনে ঢুকে যেতে পারছিল।
এই হামলাগুলোর পেছনে চীনের সরকারের সঙ্গে যুক্ত হ্যাকারদের হাত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। আমেরিকার নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, এখনকার সময়ে স্মার্টফোন, অ্যাপ ও মোবাইল নেটওয়ার্কগুলো সবচেয়ে দুর্বল জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আইভ্যারিফাই কোম্পানির প্রধান কর্মকর্তা রকি কোল বলেন, “আমরা এখন মোবাইল নিরাপত্তার বড় সংকটে আছি। কেউ ফোনগুলোর নিরাপত্তার দিকটা নজরে রাখছে না।”
আমেরিকা দাবি করেছে, চীন বড় পরিসরে হ্যাকিং অভিযান চালিয়ে অনেক আমেরিকানের টেক্সট ও ফোন কলের ওপর নজরদারি করেছে। এমনকি ২০২৪ সালের নির্বাচনের সময় ট্রাম্প ও তাঁর সঙ্গী জেডি ভ্যান্সের ফোনেও হ্যাক করার চেষ্টা হয়।
চীন অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং পাল্টা অভিযোগ করেছে যে, আমেরিকা নিজেরাই অন্য দেশের তথ্য চুরি করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আজকের দিনে মোবাইল ফোনেই ব্যাংকিং, সামরিক যোগাযোগ ও গুরুত্বপূর্ণ নীতিনির্ধারণী তথ্য থাকে। তাই এগুলোর নিরাপত্তা ভেঙে পড়া মানে দেশের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়া।
এছাড়া, ফোন যতই সুরক্ষিত হোক, যদি ব্যবহারকারীরা সচেতন না থাকেন, তাহলে বড় ধরনের বিপদ হতে পারে। যেমন, অনেক শীর্ষ কর্মকর্তাই নিজেদের ব্যক্তিগত ডিভাইসে নিরাপত্তা ছাড়াই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা চালান, যা হ্যাকারদের জন্য সুযোগ তৈরি করে দেয়।
সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনই সতর্ক না হলে সামনে আরও বড় বিপদ আসতে পারে।
আবির