
ছবি: সংগৃহীত
গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই সম্প্রতি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে ভবিষ্যতের নেতৃত্বের এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন। সান ফ্রান্সিসকোয় ব্লুমবার্গ টেকনোলজি কনফারেন্সে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে গুগলের যিনি নেতৃত্ব দেবেন, তাঁর পাশে থাকবে একটি “অসাধারণ এআই সঙ্গী”।
এই মন্তব্য নিছক রসিকতা নয়, বরং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ঘিরে গুগলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনারই প্রতিফলন। পিচাই বলেন, “আমি মনে করি, ভবিষ্যতের নেতৃত্বে থাকবে মানুষ ও এআইয়ের যৌথ অংশগ্রহণ। এটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ থেকে শুরু করে কর্মদক্ষতা—সবখানেই বড় পরিবর্তন আনবে।”
এআইকে কর্মী নয়, সহায়ক হিসেবে দেখছে গুগল
পিচাই স্পষ্ট করে বলেন, গুগল কর্মী ছাঁটাই নয় বরং আরও প্রকৌশলী নিয়োগের পরিকল্পনা করছে ২০২৬ সাল পর্যন্ত। তাঁর মতে, এআই কোনও চাকরি হরণকারী প্রযুক্তি নয়, বরং এটি মানুষকে আরও উৎপাদনশীল ও দক্ষ করে তোলে।
তিনি বলেন, “আমি এটি দেখি এমনভাবে—যেখানে প্রকৌশলীরা আরও দ্রুত কাজ করতে পারেন, একঘেয়ে কাজ থেকে মুক্ত হয়ে আরও সৃজনশীল হতে পারেন।”
নিজের কাজেও এআই: পিচাইয়ের ‘ভাইব কোডিং’ অভিজ্ঞতা
গুগল সিইও নিজেও এআই কোডিং টুল ব্যবহার করছেন। Cursor ও Replit-এর মতো টুল ব্যবহার করে তিনি ‘ভাইব কোডিং’ করছেন, যেখানে সাধারণ নির্দেশনা দিয়েই ওয়েবপেজ তৈরি করা যায়—বিনা কোড লেখায়।
এই অভিজ্ঞতা থেকে তাঁর বিশ্বাস, “কাজের ধরন পাল্টে যাচ্ছে। আমরা কেবল সফটওয়্যার তৈরি করছিই না, কাজের প্রক্রিয়া ও পদ্ধতিও বদলে যাচ্ছে।”
এআই নিয়ে সতর্ক আশাবাদ
যদিও কৃত্রিম সাধারণ বুদ্ধিমত্তা (AGI) নিয়ে এখনই নিশ্চিত কিছু বলতে নারাজ পিচাই, তবুও তিনি বলেন, “আমি মনে করি না কেউ সঠিকভাবে বলতে পারে আমরা AGI-র পথে আছি কিনা। কিন্তু আমরা যা করছি, তা মানুষের সক্ষমতাকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।”
সুন্দর পিচাইয়ের মন্তব্য শুধু প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ নয়, নেতৃত্বের রূপান্তরেরও ইঙ্গিত দেয়। যেখানে সিইওর পাশেও থাকবে একটি এআই—সহযোগী হিসেবে, সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক হিসেবে। প্রযুক্তির এই যুগে গুগল একটি বার্তা দিচ্ছে—এআই মানুষের বিকল্প নয়, বরং তার সহায়ক শক্তি।
Mily