ছবি:সংগৃহীত
‘গণহত্যার বিচার, রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তব্য দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ। গণ অধিকার পরিষদ (জিওপি) আয়োজিত এ সভায় তিনি দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, অর্থনৈতিক সংকট এবং নির্বাচন বিষয়ে স্পষ্ট অবস্থান তুলে ধরেন।
আলোচনায় পার্থ বলেন, “সাহেব, পলিটিক্স আর ইকোনমিক্স এক জিনিস নয়। পলিটিক্সে দুই আর দুই ২২ হয়, আর ইকোনমিক্সে দুই আর দুই চার।” তিনি রাষ্ট্র সংস্কারের প্রসঙ্গে বলেন, “আপনি বলছেন সংস্কার করবেন, কিন্তু কিসের সংস্কার? এটা কি এনসিপিকে ক্ষমতায় আনার সংস্কার?”
তিনি অভিযোগ করেন, ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের উপদেষ্টা দলের অধিকাংশ নাম সাধারণ মানুষ চেনেন না। তিনি বলেন, “আপনার উপদেষ্টাদের নাম দেশের মানুষ জানে না। তারা জানে না কারা তাদের ভাগ্য নির্ধারণ করছে।”
আন্দালিব পার্থ দাবি করেন, ২৮ লাখ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে, গার্মেন্টস খাত সংকটে, ব্যবসা খাত এনবিআর ও নানা সংস্কারে বিপর্যস্ত—কিন্তু সরকার সেগুলো নিয়ে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নিচ্ছে না।
ড. ইউনূসের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনার ক্ষমতার উৎস জনগণ। সংসদ না থাকলেও জনগণই হচ্ছে সেই উৎস। আপনি যদি জনগণের কথা না শুনেন, তাহলে এই সংস্কার অব্যাহত থাকবে কীভাবে?”
তিনি আরও বলেন, "নির্বাচনের একটি নির্দিষ্ট তারিখ না দেওয়ার কারণে দেশে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগে অনাগ্রহী, প্রশাসনের ভবিষ্যৎ নিয়েও সংশয় রয়েছে। আপনি কি জাতিকে একটি লটারির মধ্যে ফেলে দেবেন?"
আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, “আজকে আমরা চাই, আপনি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ দিয়ে দিন। তাহলে সবকিছু একটি লাইনের মধ্যে ফিরে আসবে। মানুষ জানবে সামনে কী আসছে।”
তিনি দাবি করেন, আওয়ামী লীগ একটি ‘ক্রিমিনাল এন্টারপ্রাইজ’, আর বিএনপি এবং অন্যান্য বিরোধী দল রাজনৈতিক দল। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে অংশগ্রহণের বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, “আমরা জানি, নির্বাচনই একমাত্র পথ। নির্বাচনের মাধ্যমেই জনগণকে ক্ষমতায়ন করা সম্ভব।”
শেষে তিনি ড. ইউনূসকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, “আপনি একজন রাজনীতিক নন, আপনার মূল সম্পদ হল ইন্টেগ্রিটি ও ক্রেডিবিলিটি। সেই বিশ্বাস হারাবেন না। মানুষ আপনাকে আজও সম্মান করে, যদি আপনি জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেন।”
সূত্র:https://youtu.be/oKV3nXcLpUs?si=sv8JgVbDcxlGT_K1
আঁখি
