
বিএনপির কালো পতাকা মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এ সময় মঈন খানকে সরিয়ে নেওয়া হয়
রাজধানীতে বিএনপির কালো পতাকা মিছিল পণ্ড হয়ে গেছে। এ ছাড়াও সারাদেশের বিভিন্ন এলাকায় এ কর্মসূচি পণ্ড হওয়ার পাশাপাশি পুলিশ বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে কোনো কোনো এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে এ কর্মসূচি পালিত হয়। পুলিশের বাধায় মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর সাতটি স্থানে পূর্বনির্ধারিত কালো পতাকা মিছিল করতে পারেনি বলে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়।
তবে বিচ্ছিন্নভাবে রাজধানীর কোনো কোনো এলাকায় ঝটিকা মিছিল করেছে বিএনপি ও তাদের সমমনা বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বাতিল, খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে দেশের সকল মহানগর, জেলা ও থানায় এ কর্মসূচি পালনের ডাক দিয়েছিল দলটি।
রাজধানীতে বিএনপির কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচি পালনের কথা ছিল সাতটি স্পটে। এগুলো হচ্ছে উত্তরা ১২ নং সেক্টার, মিরপুর ১২নং, বাড্ডা লিংক রোড, পীরজঙ্গি মাজার সড়ক মোড়, নিউ মার্কেট, দয়াগঞ্জ ও যাত্রাবাড়ী। কালো পতাকা মিছিলের চেষ্টাকালে উত্তরার ১২নং সেক্টর থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানকে পুলিশ গাড়িতে করে উত্তরা থানায় নেওয়ার পর ছেড়ে দেয়। এ ছাড়াও আজিমপুর, পীরজঙ্গি মাজারসহ বিভিন্ন স্পট থেকে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বেলা ২টায় উত্তরার ১২ সেক্টর কবরস্থানের কাছে কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচি পালন করতে আসেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। গাড়ি থেকে নামার পর পরই পুলিশ তাকে ঘিরে ফেলে এবং কোনো কর্মসূচি করতে দেবে না বলে জানিয়ে দেয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়।
বেলা ২টা ২০ মিনিটে মতিঝিলের পীরজঙ্গি মাজার সড়কের মোড়ে আসেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি গাড়ি থেকে নেমেই গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। কালোপতাকা মিছিল কর্মসূচি পালন করতে না দেওয়া সম্পর্কে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, মিছিল-মিটিং-শোভাযাত্রা এটা একটা গণতান্ত্রিক অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার।
আমরা যথারীতি নিয়ম মেনে পুলিশ কমিশনার বরাবর চিঠি দিয়েছিলাম। এতে অবহিত করেছিলাম আমরা রাজধানী ঢাকায় নয় ৭টি স্থানে শান্তিপূর্ণভাবে কালোপতাকা মিছিল কর্মসূচি পালন করব। কিন্তু পুলিশ আমাদের সবখানে কর্মসূচি পালনে বাধা দিয়েছে। আমরা পুলিশের এহেন কর্মকা-ের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। গয়েশ্বর বলেন, উত্তরা থেকে আমাদের দলের নেতা ড. আব্দুল মঈন খানকে পুলিশ আটক নিয়ে গেছে।
সার্র্বিক পরিস্থিতি অবলোকন করার পর আমরা এটাই বুঝতেছি যে, অযথা বিএনপি নেতাকর্মীদের দাঁড়াতে দেওয়া হয়নি, অযথা নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, আমাদের কর্মসূচি পালন করতে দেয়নি পুলিশ।
গয়েশ্বর বলেন, দ্বাদশ সংসদ বৈধ সংসদ নয়। জনগণের অংশগ্রহণবিহীন এই সংসদ। তাদের আত্মতৃপ্তি তারা নির্বাচনের পর সরকার গঠন করেছে। কিন্তু আমাদের চলমান এক দফার আন্দোলন চলমান থাকবে, আমরা আমাদের আন্দোলন গণতান্ত্রিকভাবে ও শান্তিপূর্ণ পথে অব্যাহত রাখব।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ, খালেদা জিয়াসহ রাজবন্দিদের মুক্তি ও দ্বাদশ সংসদ বাতিলের দাবিতে ‘সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ’ আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, কালোপতাকা নিয়ে সারাদেশের জনগণ দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করেছে। কিন্তু যারা সংসদে বসছে তাদের লাজ-লজ্জা-ভয় নেই।
গয়েশ্বর বলেন, বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে গয়েশ্বর রায় বলেন, লড়াই আমাদের চলমান, লড়াই আমাদের থেমে নেই। তবে বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে লড়াইয়ের কৌশল পরিবর্তন করা হয়েছে। বিএনপি যেভাবে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিগত দিনে যেভাবে চলেছে সেভাবেই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্যদিয়ে, গণতান্ত্রিক রীতিনীতির মধ্যেই বিএনপি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন করে যাচ্ছে এবং করে যাবে।
গয়েশ্বর রায় বলেন, আমরা রেকর্ড করতে পারিনি এক সরকারের মেয়াদে ১৭৩ দিন হরতাল দেওয়ার, আমরা রেকর্ড করতে পারিনি গান পাউডার দিয়ে শেরাটনের সামনে বাসে মানুষ মারার, আমরা এখনো দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারি নাই চলমান পথিককে বিবস্ত্র করা, আমরা এখনো পারি নাই লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ মেরে তার উপরে নাচ-গান করার। তবে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোরে ঐক্য সুদৃঢ় করেই সরকারের পতন ঘটানো হবে।
আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরীর সঞ্চালনায় মানববন্ধন কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, জিয়া পরিষদের নেতা অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, ইউনির্ভাসিটি টিচার্স এ্যাসোসিয়েশনের নেতা অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের নেতা অধ্যাপক শামসুল আলম সেলিম, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের নেতা অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতা রিয়াজুল ইসলাম রিজু, ডক্টরস এ্যাসোসিয়েশনের নেতা ওবায়দুল কবির খান, এগ্রিচিালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের নেতা শফিকুর রহমান শফিক, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতা অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নেতা মাহবুবুল আলম শামীম, নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের নেতা জাহানারা সিদ্দিকী, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতা সাখাওয়াত হোসেন, ডিপ্লোমা এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের নেতা জিয়াউর হায়দার পলাশ, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক জোটের নেতা রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
সন্ধ্যায় নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, পূর্বঘোষিত শান্তিপূর্ণ কালোপতাকা মিছিলে হামলা ও নিপীড়ন-নির্যাতন চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সরকার বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশকে লেলিয়ে দিয়েছে। দুপুরে উত্তরায় কোনো উস্কানী ছাড়াই বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক মন্ত্রী, বিদ্বজন ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ড. আব্দুল মঈন খানের সঙ্গে অশালীন আচরণ করে এবং ধাক্কা দিয়ে জিপে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ।
আমরা গণমাধ্যমে দেখলাম ড. মঈন খান পুলিশের উদ্দেশে বারবার বলছিলেন তার অপরাধ কি ? কিন্তু পুলিশ তাঁর কথায় কর্ণপাত না করে মঈন খানের মতো ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের একজন স্বনামধন্য অধ্যাপক, বিজ্ঞানী ও কীর্তিমান মানুষকে পুলিশ ধাক্কা দিয়ে জিপে তুয়ে নিয়ে যায় এবং নাজেহাল করে। পরে তাঁকে ছেড়ে দিলেও তাঁর সঙ্গে আটক হওয়া অন্য নেতাকর্মীদের এখনো ছেড়ে দেয়নি পুলিশ।
রিজভী বলেন, বিএনপির কালোপতাকা মিছিল থেকে বিনা কারণে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহপ্রচার সম্পাদক ও সদ্য কারামুক্ত নেতা কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীমকে বাগেরহাটের রামপাল থেকে এবং জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদসহ মহিলা দলের ৪ জনকে নেতাকে রাজধানীর উত্তরা থেকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ।
সুলতানা আহমেদসহ মহিলা দলের নেত্রীদের এখনো পর্যন্ত ছেড়ে দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে তাদের পরিবার-পরিজন গভীর উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় রয়েছেন। কিছুদিন আগে সুলতানা আহমেদের হার্টে রিং বসানো হয়েছে, তিনি গুরুতর অসুস্থ। অথচ তাকে এখনো ছেড়ে না দেওয়া চরম অমানবিক। আমি অবিলম্বে কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম এবং সুলতানা আহমেদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানাচ্ছি।
চট্টগ্রামে দলীয় কার্যালয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ বিএনপির ॥ চট্টগ্রাম অফিস পূর্ব-নির্ধারিত থানাভিত্তিক কালোপতাকা মিছিলের পরিবতেঅ চট্টগ্রামে দলীয় কার্যালয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে কর্মসূচি শেষ করেছে বিএনপি। দলটির পক্ষ থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত চকবাজার এলাকায় কালোপতাকা মিছিল করার ঘোষণা থাকলেও হঠাৎ করে তা পরিবর্তন করা হয়।
নগরীর নাসিমন ভবন দলীয় কার্যালয়ে বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, অবৈধ নির্বাচনের মাধ্যমে অবৈধ সংসদ দেশের মানুষ মানে না। বিএনপি জনগণের ওপর নির্ভর করে রাজনীতি করে। আর আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতা দখল করে। বিএনপির চলমান গণআন্দোলনের ঢেউকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। তীব্রতর আন্দোলনের মাধ্যমেই ডামি সরকারকে নতুন নির্বাচন দিতে বাধ্য করা হবে।
নারায়ণগঞ্জে পুলিশের বাধার অভিযোগ ॥ স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান, শহরে বিএনপির কালো পতাকা মিছিলে ব্যানার ও মাইক কেড়ে নেওয়াসহ পুলিশের বাধা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। পুলিশের বাধা উপেক্ষা করেই মিছিল করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। তবে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। বিকেল তিনটায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে কালোপতাকা মিছিলের প্রস্তুতি নেয় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি।
তবে এর আগ থেকেই সেখানে অবস্থান নেয় বিপুলসংখ্যক পুলিশ। বিএনপির নেতা-কর্মীরা রাস্তায় নেমে মিছিল করতে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দিয়ে ব্যানার ও মাইক কেড়ে নেয়। এ সময় পুলিশের সঙেঙ্গ বিএনপির নেতাদের বাকবিত-া হয়।
বাউফলে পুলিশের লাঠিচার্জে ॥
বাউফল, থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা জানান বিএনপির কালোপতাকা মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় উপজেলা ছাত্র দলের যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম, কেশবপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবুজাফর মিঠু, সূর্যমনি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি বাপ্পি, উপজেলা শ্রমিক দলের সদস্য সবুজ হাওলাদার, পৌর ছাত্র দলের সদস্য সচিব সাদেকুজ্জামান রাকিবসহ ১১ জন আহত হয়।
নরসিংদীতে পুলিশি বাধার মুখে কার্যালয়ের কালো পতাকা মিছিল ॥ নরসিংদী থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, জেলা বিএনপির চিনিশপুরস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে ভেতর থেকে মিছিল বের ওয়ার সময় পুলিশের বাধার মুখে পড়লে পরে কার্যালয়ের ভেতরেই মিছিল ও অবস্থান করে দলের নেতাকর্মীরা। এ সময় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মঞ্জুর এলাহি, যুগ্ম আহ্বায়ক একেএম গোলাম কবির কামাল, আকবর হোসেন, দীন মোহাম্মদ দীপু, খবিরুল ইসলাম বাবুল, আমিনুল ইসলাম বাচ্চুসহ জেলা বিএনপির অন্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বরিশালে মিছিল করেনি বিএনপি ॥ বরিশাল থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, পুলিশের কঠোর অবস্থানের কারণে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় পূর্ব ঘোষিত দলীয় কার্যালয় থেকে মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা কালো পতাকা মিছিল বের করেননি। বিএনপির নেতারা জানিয়েছেন, তাদের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি পালনের পূর্বে মঙ্গলবার ভোর থেকে দলীয় কার্যালয় ও তার পাশ্ববর্তী এলাকা পুলিশ ঘিরে রাখে।
এমনকি তাদের দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাই গ্রেপ্তার এড়াতে সিনিয়র নেতৃবৃন্দের পরামর্শে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। তবে পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. ফজলুল করিম জানান, কোনো রকম বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধে পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালন করেছে।
ঝিনাইদহে পুলিশের বাধা ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, ঝিনাইদহে পুলিশের বাধায় প- হয়েছে বিএনপির কালোপতাকা মিছিল। সকালে জেলা বিএনপি কার্যালয় চত্বরে বিভিন্ন উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিয়ে কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। পরে দলীয় কার্যালয় থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল বের করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। নীলফামারীতে পুলিশের বাধা ॥ স্টাফ রিপোর্টার জানান, পুলিশের বাধার মুখে কালোপতাকা মিছিল করতে পারেনি নীলফামারী জেলা বিএনপি। বেলা ১১টায় জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে কালোপতাকা হাতে নিয়ে মিছিল বের হতে চাইলে পুলিশের বাধার মুখে মিছিল করতে না পেরে সেখানেই সমাবেশ করে নেতাকর্মীরা।
মঠবাড়িয়ায় আটক-২ ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় সকালে উপজেলা বিএনপি কালো পতাকা মিছিল বের করলে পুলিশ বাধা দিয়ে দুজনকে আটক করে। উপজেলা বিএনপি‘র সদস্য সচিব আবু বকর সিদ্দিক বাদল ও পৌর বিএনপি‘র আহ্বায়ক কে.এম হুমায়ূন কবিরের নেতৃত্বে পৌর শহরে পৃথক দুটি মিছিল বের করা হয়। এ সময় উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. কাওসার হোসেন মল্লিক ও পৌর যুবদল নেতা মো. বেল্লাল হোসেনকে আটক করে পুলিশ।
ঝালকাঠিতে কালো পতাকা মিছিল পণ্ড ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, বিএনপির কালোপতাকা মিছিল পণ্ড হয়ে গেছে। সকাল ১০টার দিকে উপজেলার বাঘড়ী বাজার সংলগ্ন বিএনপির কার্যালয় থেকে কালোপতাকা মিছিল বের করা হয়। মিছিলের নেতৃত্ব দেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাছিম উদ্দীন আকন। মিছিলটি বরিশাল-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কে ওঠার সময় পুলিশ বাঁধা দেয়। এসময় পুলিশ এবং বিএনপি নেতা কর্মীদের সঙ্গে বাগবিত-া হয়। পুলিশি বাধার মুখে মিছিলটি দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন নেতাকর্মীরা।
এদিকে নোয়াখালীর সেনবাগ, পটুয়াখালীর দুমকি ও কুড়গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে কালোপতাকা মিছিল করেছে বিএনপি।