ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০১ মে ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

বেগম জিয়া ॥ রোহিঙ্গা শিবিরে ‘আনন্দদায়ী নেত্রী’ -স্বদেশ রায়

প্রকাশিত: ০৬:১২, ২ নভেম্বর ২০১৭

বেগম জিয়া ॥ রোহিঙ্গা শিবিরে ‘আনন্দদায়ী নেত্রী’ -স্বদেশ রায়

খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে সুস্থ নন। স্বাভাবিক চলাফেরা, রাজনীতি করার মতো সুস্থতা তিনি হারিয়ে ফেলেছেন। এটা পৃথিবীর স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। আমরাও আজ যারা নিজ নিজ পেশায় যতটুকু পারি কাজ করছি, আমাদেরও এক সময় বয়স এসে নিষেধ করবে- আর না, এবার গুটাও তোমার পালা। আমাদের তখন সব গুটিয়ে তরুণদের হাতে তুলে দিয়ে পেছনে চলে যেতে হবে। যেমন মনে করছি, এবার দিল্লী গেলে চেষ্টা করব যদি অটল বিহারী বাজপেয়ীর সঙ্গে দেখা করা যায়। তিনি বয়সের কারণে রাজনীতি থেকে সরে গেছেন, মোদির মতো নতুন নেতার হাতে নেতৃত্ব তুলে দিয়ে। তবে যারা দীর্ঘ জীবন ধরে একটি কাজ করেন, তাদের কাছ থেকে দু’এক লাইন শুনতে পারলেও সেটা শত বছরের অভিজ্ঞতা। বেগম জিয়ারও এখন ভালয়-মন্দয় অভিজ্ঞতার ঝুলি ভারি। এই অভিজ্ঞতা থেকে তিনি নিশ্চয়ই বোঝেন, তাঁর রাজনীতি করতে হলে দুর্গতের পাশে যেতে হবে, সাধারণ মানুষের পাশে যেতে হবে। হাওড়ের মানুষের বিপদের সময় তিনি তাঁর শারীরিক অসুস্থতার কারণে দেশে থেকেও মানুষের কাছে যেতে পারেননি। তারপরে উন্নত চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন লন্ডনে। তিনি সেখানে থাকাকালীন বাংলাদেশে বন্যা হয়। স্র্রোতের মতো রোহিঙ্গারা আসে বাংলাদেশে। বেগম জিয়া তখন ফিরতে পারেননি। ষোড়শ সংশোধনী মামলার কিছু অবজারভেশান নিয়ে যখন কোর্ট এলাকা গরম হয়ে উঠেছিল তখন হঠাৎ তিনিও কিছুটা সুস্থ হন। দেশে ফেরার দিনক্ষণও ঠিক করেন। কিন্তু সে গণেশ উল্টে যায় দুর্নীতি ও নৈতিক স্খলনের কারণে। ওদিকে বেগম জিয়ারও আবার চিকিৎসার প্রয়োজন দেখা দেয়। তাঁর দলের নেতা মওদুদ আহমদ জানালেন, তাঁর ফিরতে দেরি হবে। কারণ, চোখের ডাক্তারের এ্যাপয়েনমেন্ট পেয়েছেন দুই মাস পরে। চোখ শরীরের অতি প্রয়োজনীয় একটি অঙ্গ। পেটের দায়ে দিনরাত কম্পিউটারে লেখাপড়া করে কিছুটা হলেও বুঝি চোখ কতটা প্রয়োজনীয়। ড. আজিজ অত্যন্ত ভাল মানুষ। নিজের ছোট ভাইয়ের মতো। তাই দয়া করে বিনা পয়সায় চোখ দুটো প্রতি ছয় মাসে একবার দেখে দেন। কিন্তু দুই চোখে দুই ধরনের পাওয়ার, তার ওপর প্রতি ছয় মাসে গ্লাস বদলানোর পয়সা জোগাড়Ñ সব মিলে হিমশিম খেতে হয়। আর এ তো গেল আমাদের মতো অতি সাধারণ জনের চোখ। সেখানে বেগম জিয়া যে ডাক্তারকে দেখাবেন, তাঁর এ্যাপয়েনমেন্ট পেতে দুই মাস সময় লাগা তো অতি স্বাভাবিক। আর যাই হোক চোখ নিয়ে তো হেলাফেলা করা যায় না। তাই দেশের মানুষ ধরে নিয়েছিল বেগম জিয়ার ফিরতে আরও দু’ মাস দেরি হবে। তাতেও মানুষ খারাপ কিছু মনে করেনি। বরং সকলেই প্রার্থনা করেছিলেন তাঁর চোখের একটা ভাল চিকিৎসা হোক। এর ভেতর একটি ঘটনা ঘটে গেল। মওদুদ আহমদ ওই কথা বলার কয়েক দিন পরেই মির্জা ফখরুল বললেন, তিনি ১৫ সেপ্টেম্বর আসবেন। নিন্দুকরা বললেন, তার কোন চিকিৎসার আসলে দরকার নেই। তিনি ওখানে কিছু শলাপরামর্শ করছিলেন। এখন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ আসবেন বলে তিনি তড়িঘড়ি করে দেশে ফিরছেন। কিন্তু হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন তাঁর দলের নেতা গয়েশ্বর রায়। তিনি বললেন, সুষমা স্বরাজ বেগম জিয়ার সঙ্গে তাঁর বাসায় দেখা করতে যাবেন। কারণ, ভারতের বন্ধুত্ব কোন একটি দলের সঙ্গে নয়। বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে। অতি চমৎকার কথা। একেবারে নিখাদ পরিষ্কার কূটনীতির ভাষা। বুদ্ধিমানদের সকলেরই খুশি হওয়ার কথা গয়েশ্বরের কথায়। কিন্তু বোকারা সব সময় কোন কথা শুনে প্রথমবারে বুঝতে পারে না। তাদের বুঝতে সময় লাগে। বোকাদের মনে তাই প্রশ্ন এলো, ভারত তো একাত্তর সালে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সহযাত্রী ছিল। তাই আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে তাদের কাছে বাংলাদেশের পাকিস্তানপন্থীরা যেমন শত্রু, ভারতের কাছেও তো তেমন হওয়া উচিত। না, কূটনীতি চিরকাল এক জায়গায় থাকে না- এখানেও কি তাই ঘটে গেল? ঘটবে কীভাবে? গয়েশ্বরের নেতা তো মূলত সেকেন্ডারি নেতা, তাঁর মূল নেতা তো পাকিস্তানে। তাদের সঙ্গে তো আগে ভারতের মিলমিশ হতে হবে। তারপরে না গোÑঈশ্বরীয় কূটনীতি সত্য হবে। যা হোক, তারপরে এ যাত্রায় লেখা হলো সুষমা স্বরাজ-খালেদা ও সোনারগাঁও পর্ব। মহাকাব্যের এ অংশ খুব স্বস্তিকর নয়। তাই কাব্যের এ অংশ স্বস্তিকর না হওয়াতে বিএনপি ঠিক করল এবার রোহিঙ্গা কা- লিখতে হবে। লেখার শুরুটা অবশ্য মির্জা ফখরুল খুব ভালই করেছিলেন। তিনি শেখ হাসিনার ভেতর আরও বেশি ইন্দিরা গান্ধীকে দেখতে চেয়েছিলেন। আর যাই হোক, মির্জা ফখরুল এর ভেতর দিয়ে শেখ হাসিনাকে তাঁর নেতা মানেননি, খালেদাকেও ছোট করেননি। তিনি শুধু সত্যটি বলেছেন। হাসিনা এখন ইন্দিরার মানেরই নেতা। কিন্তু রোহিঙ্গা সমস্যাটি আমাদের ’৭১-এর সমস্যার থেকে আরও জটিল। একাত্তরে আমরা শুধু শরণার্থী ছিলাম না, আমরা ছিলাম স্বাধীনতাকামী একটি জনগোষ্ঠী, আমরা মেজরিটি, আমাদের নিজেদের জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার ছিল। ভারত আমাদের জনগণের ও সরকারের বন্ধু হয়ে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র আরেকটি গণতন্ত্রকামী রাষ্ট্রের ও জনগণের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল। অন্যদিকে রোহিঙ্গারা সেদেশের জনগোষ্ঠীর ৩.২ ভাগের মতো। অর্থাৎ একেবারেই ক্ষুদ্র মাইনরিটি। তাদেরকে তাড়ানো হয়েছে একটি অর্থনৈতিক আগ্রাসনের অংশ হিসেবে। এই অর্থনৈতিক আগ্রাসনে জড়িত বিশ্বের প্রায় সব বড় দেশ। মির্জা ফখরুল অধ্যাপক হিসেবে এ বিষয়টি আমাদের থেকে ভাল বুঝেছেন, তাই তিনি শেখ হাসিনার ভেতর আরও বেশিসংখ্যক ইন্দিরা গান্ধীকে দেখতে চেয়েছেন। এটাও সত্য, বাংলাদেশে এ মুহূর্তে যতজন রাজনীতিতে যুক্ত আছেন, তার ভেতর নিজেকে পরিবর্তিত করা, নিজের আকারকে কাজের মাধ্যমে দীর্ঘায়িত করার যোগ্যতা রাখেন একমাত্র শেখ হাসিনা। মির্জা ফখরুল কোনরূপ বিরোধিতার জন্য না বলে যদি সত্য উপলব্ধি করে বলে থাকেন, তাহলে তিনি দেশের মানুষের কাছ থেকে ধন্যবাদ পাবেন। ধন্যবাদ পাবেন বিদেশী নেতাদের কাছ থেকেও । কারণ, তারাও জানেন, এ মুহূর্তে অর্থাৎ একবিংশ শতাব্দীর এই অর্থনৈতিক আগ্রাসন ও অর্থনৈতিক যুদ্ধের বিশ্বে- অর্থনৈতিক স্বার্থে কিছু দরিদ্র মানুষকে যে বিতাড়িত করা হয়েছেÑ এই দরিদ্রের পক্ষে পৃথিবীর জনমতকে এক করে এ সমস্যার সমাধান করার মতো নেতা একমাত্র শেখ হাসিনা। যা হোক, মির্জা ফখরুল যেভাবে শুরু করেছিলেন, তার নেত্রী সেভাবে আরম্ভ করলেন না তাঁর কাব্যের রোহিঙ্গা কা-টি। বেগম জিয়াকে আর এক বছর পরে ভোটে আসতে হবে ঠিকই- তিনি নিজে না পারেন তাঁর দলকে আসতে হবে। তাই বলে সেই নির্বাচন আর রোহিঙ্গাকে এক সঙ্গে মেলানোর কোন যুক্তি নেই। রোহিঙ্গা সমস্যাটি বাংলাদেশের সকলের। আর নির্বাচনটি যার যার দলের। বেগম জিয়া ঢাকা থেকে উখিয়া রোহিঙ্গা শিবির পর্যন্ত গেলেন গাড়িবহর নিয়ে। পথে পথে লোক জড়ো হলো। কিন্তু তাদের ব্যানারে দেখা গেল তারা সকলে মনোনয়ন প্রত্যাশী। অর্থাৎ আগামী নির্বাচনে তাঁর দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা পথে পথে কর্মী সমাবেশ করলেন। রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে একটি ব্যানার বা ফেস্টুন দেখা গেল না কোথাও। এমনকি পথে পথে নেত্রীর সঙ্গে রিলিফ নিয়েও এগিয়ে এলেন না কেউ। তাঁর নেতা-কর্মীদের এই দলীয় মনোনয়নের লোভ এবং বেগম জিয়া রথ দেখা ও কলা বেচার কাজটি একসঙ্গে করতে গিয়ে তিনিও বুঝিয়ে দিলেন রোহিঙ্গা শিবিরে যাওয়া তার উপলক্ষ মাত্র। তবে উখিয়ার বিএনপি নেতাদের স্মার্টনেসকে ধন্যবাদ দিতে হয়। তারা তাদের নেত্রীকে ভালভাবে জানেন। তিনি আর যাই হোক শেখ হাসিনা নন যে, যেখানে সেখানে হতদরিদ্র, ময়লা কাপড় পরিহিত মানুষকে নিজের আত্মীয়জ্ঞানে জড়িয়ে ধরবেন, তাদের কষ্টে তাঁর মন ব্যথিত হবে, তাঁর অজান্তেই তাঁর চোখের কোন বেয়ে গড়িয়ে পড়বে পানি। এ কাজ হয়ত তাঁর শরীরে প্রবাহিত রক্তই তাঁকে করায়। কারণ, তাঁর পিতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এ দেশের পলিমাটিকেও ভালবাসতেন। দু’হাতে এদেশের মাটি তুলে নিয়ে কপালে মেখেছেন বঙ্গবন্ধু। তাই ওই নোংরা কাপড় পরা দরিদ্র মানুষেরা শেখ হাসিনার আত্মার আত্মীয় হতে পারেÑ এমনকি সে যে দেশের মানুষই হোক না কেন? খালেদা তো আর ওই পথে যেতে পারেন না। তাঁর বেড়ে ওঠা শত শত সেপাই আর বাটলারকে হুকুম করে। যা হোক, তাঁর উখিয়ার নেতারা তাদের নেত্রীকে চিনতে এবং সকল আয়োজন করতে কোন ভুল করেনি। তারা ডায়াপারসহ নতুন জামা-কাপড় পরিয়ে একটি শিশুকে আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলেন, যাকে বেগম জিয়া কোলে নেবেন। বেগম জিয়াও সুন্দর কাপড় পরা ওই শিশুটিকে কোলে নিয়ে সুন্দর হাসি হাসি মুখ করে তাকে আদর করেন। আর ছবিতেই দেখা যাচ্ছে তাঁদের নেত্রীর এই হাসি মুখ দেখে নেতাকর্মীরা সকলে হাসিতে উচ্ছল হয়ে উঠেছে। সে কী হাসি! যেন তাদের ঘরে একটি নবজাতক এসেছে। অর্থাৎ ওই মুহূর্তে সকলে ভুলে গেছেন, এরা ক্যাম্পের শিশু, এরা নির্যাতিত শুধু নয়, দেশহারা মানুষ। আর যেভাবে শরণার্থী ক্যাম্পে থাকতে হয় তাতে সব শিশুই থাকে মৃত্যুর ঝুঁকিতে। বেগম জিয়া ও তাঁর নেতারা কিছুক্ষণের জন্য হলেও একটি আনন্দঘন উৎসবময় পরিবেশ সৃষ্টি করতে সমর্থ হয়েছিলেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। যেখানে শেখ হাসিনা, রেহানা ও রেহানার পুত্রবধূ গিয়ে শুধু নিজেরা কাঁদেননি, গোটা বিশ্বকে কাঁদিয়েছেন ওই মানুষের দুর্দশায়। শেখ হাসিনার ওই বেদনার্ত মুখ দেখে গার্ডিয়ান তাকে মাদার অব হিউম্যানিটি (মানবতার জননী) বলে আখ্যায়িত করেছে। বেগম জিয়া ও তাঁর নেতারা যে কিছুক্ষণের জন্য হলেও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হাসির বন্যা এনেছেন, এজন্য বিশ্বের না হোক বাংলাদেশের মিডিয়ার কাউকে না কাউকে তো তাঁকে ‘আনন্দদায়ী নেত্রী’ হিসেবে আখ্যায়িত করা উচিত। এই হাসি-আনন্দের পর্ব শেষ করে বেগম জিয়া রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের রাজনৈতিক কূটনীতিটিও করলেন তাঁর নির্বাচনী রাজনীতির মতো। অর্থাৎ বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা। তিনি সেখানে বলেছেন, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। ইতোমধ্যে আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমারকে ফোন করেছেন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে এসে জোর দাবি জানিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতেই হবে মিয়ানমারকে। ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের ১৭৩ সদস্যের ভিতর এক শ’ চল্লিশ সদস্যের ভোটে প্রস্তাব পাস করেছে রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে হবে। জাতিসংঘের মহাসচিব ইতোমধ্যে কয়েকবার জোর দাবি জানিয়েছেন তাদের ফেরত নেবার বিষয়ে। রাশিয়া তাদের অবস্থান পরিবর্তন করেছে। সিকিউরিটি কাউন্সিলের আগামী মিটিংয়ে তারা রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর পক্ষে থাকবে। তাই এ সময়ে সত্যিকার অর্থে দেশপ্রেমিক হলে বেগম জিয়ার উচিত ছিল, সরকারের এই তৎপরতার সহযোগী হওয়া। আর তা যদি না হয়, বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দলের নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি তাঁর কূটনীতি চালিয়ে যেতে পারতেন রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবার পক্ষে। সে ঘোষণা তিনি দিতে পারতেন। তা না করে তিনি এটাকেও মনে করলেন তাঁর ভোটের রাজনীতি। অর্থাৎ রোহিঙ্গা সমস্যাটিকেও রাজনৈতিক হাতিয়ার বানাতে হবে। তিনি বললেন, সরকার কূটনীতিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে। দেশের সফলতাকে খাটো করার ভেতর দিয়ে এসব ক্ষেত্রে কেবল নিজেকে খাটো করা হয়- দেশের জন্য কিছু করা হয় না। [email protected]
×