ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

মঙ্গলবার্তা নেই চুয়াডাঙ্গায় 

সর্বকালের রেকর্ড ভেঙ্গে তাপমাত্রা ৪৩.৮ ডিগ্রি

প্রকাশিত: ১৬:০০, ৩০ এপ্রিল ২০২৪; আপডেট: ১৭:১৭, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

সর্বকালের রেকর্ড ভেঙ্গে তাপমাত্রা ৪৩.৮ ডিগ্রি

চলতি মাসে তাপপ্রবাহের হাত থেকে নিস্তার পাবে না দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা চুয়াডাঙ্গা মানুষ।

মঙ্গলবারেও মঙ্গলবার্তা দিল না চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস। বরং এদিন সর্বকালের রেকর্ড ভেঙ্গে তাপমাত্রার রেকর্ড গড়লো ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস দিয়ে। সকাল থেকে যেন গরমে আরও বেশি হাঁসফাঁস করছে জেলাবাসী। চলতি মাসে তাপপ্রবাহের হাত থেকে নিস্তার পাবে না দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা চুয়াডাঙ্গা মানুষ।

সারাদেশ জুড়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিচার করলে প্রথম স্থানে রয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলা। প্রচন্ড তাপপ্রবাহের কারণে মঙ্গলবার পর্যন্ত এখানে হিট এলার্ট জারি রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের রেকর্ড অনুযায়ী এই জেলায় ২০১৪ সালের ২১ মে সবচেয়ে বেশী তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর গত ১০ বছরের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল গত বছরের ১৯ ও ২০ এপ্রিল ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া পর্যায়ক্রমে ২০১৫ সালের ২২ মে ৩৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০১৬ সালের ১১ ও ২২ এপ্রিল ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০১৭ সালের ৩ এপ্রিল ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০১৮ সালের ১৮ জুন ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০১৯ সালের ২৮ এপ্রিল ৩৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০২০ সালের ৭ এপ্রিল ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০২১ সালের ২৫ এপ্রিল ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ২০২২ সালের ২৪ ও ২৫ এপ্রিল মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বেলগাছী গ্রামের রিক্সা চালক খোকা মিয়া বলেন, রিক্সা নিয়ে রোদে গেলে মনে হচ্ছে গায়ের চামড়া পুড়ে যাচ্ছে। দুই-একটি ভাড়া মারার পর একটু করে বিশ্রাম নিতে হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার ফেরী ঘাট রোডে লেবারের কাজ করেন হাজরাহাটি গ্রামের রমজান আলী। তিনি জানান, সকাল ৬ টার দিকে কাজ করার উদ্দ্যেশে শহরের আসি। সকাল সকাল কাজ করলে কিছুটা আয় হয়। পরে সূর্যের তাপে কাজ করা যায় না।

এপ্রিলের তাপপ্রবাহে কারণে রোগবালাই বেড়েই চলেছে। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে বিপুলসংখ্যক মানুষ চিকিৎসা নিচ্ছেন। 

চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। সেসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল শতকরা ৫৬ শতাংশ। এরপর বেলা ১২ টায় তাপমাত্রা দাড়ায় ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাস আর্দ্রতা ছিল ১৪ শতাংশ। বেলা ৩ টায় সর্বকালের রেকর্ড ভেঙ্গে তাপমাত্রা রেডর্ক করা হয় ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেইসাথে বাতাসের আর্দ্রাতার পরিমাণ ছিল ১২ শতাংশ। 

তিনি আরও বলেন, এপ্রিল দেশের উষ্ণ মাস। এ মাসে গরম বেশি। এছাড়াও গরম বেশি অনুভূত হওয়ার কারণ, বাতাসের আর্দ্রতা বেশি। সকলকে সাবধানে থাকার অনুরোধও জানান তিনি।

এবি

×