ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০১ মে ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

বিষয়টি ভেবে দেখুন

প্রকাশিত: ০৩:৪৭, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

বিষয়টি ভেবে দেখুন

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ছাড়া আর কারও মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয় নিয়ে চিন্তা করার যেন সময় নেই। মুক্তিযোদ্ধাদের অভিভাবক শেখ হাসিনা মাসিক সম্মানী ভাতা ৩শ’ টাকা থেকে ৮ হাজার টাকায় উন্নীত করেছেন। জানুয়ারি ’১৬ থেকে ১০ হাজার টাকা করে প্রদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা সুবিধাবঞ্চিত ও অসহায় মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ২,০০,০০০ (দুই লাখ) টাকা বিশেষ ঋণ সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা করেছেন। এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়, সাধারণ ঋণ বিভাগ ১৫ অক্টোবর-২০১৫ পরিপত্র জারি করেছে। সরকারী ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিশেষ ঋণ কর্মসূচীর পরিপত্রে অনেক জায়গায় কিছু জটিলতা রয়েছে। পরিপত্রে ০৩(ঘ)-এ সর্বোচ্চ ৬৭ বছর বয়সের মুক্তিযোদ্ধাগণ এ ঋণ পাওয়ার যোগ্য হবেন, ঋণ সম্মানী ভাতা থেকে মাসিক কিস্তিতে পরিশোধযোগ্য। ঋণ গ্রহণ করে কোন মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যুবরণ করলে সম্মানী ভাতা তার স্ত্রী অথবা পুত্র-কন্যাগণ প্রাপ্ত হবেন। তাদের সম্মানী ভাতা থেকে ঋণ পরিশোধের কোন অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। তাই এ জটিলতা পরিহার করে বয়সের কোন বাধ্যকতা না রেখে সহজশর্তে দুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে ঋণ বিতরণের ব্যবস্থা করতে হবে। গ্রামগঞ্জে কোনো ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাকে যখন রাষ্ট্রীয়ভাবে স্যালুট করা হয় তখন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের মর্মবেদনা হয়। ১৯৭৫ সালের পর ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের দাপটে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বারান্দায় উঠতে পারেনি। আওয়ামীপন্থী সরকারী চাকরিজীবীরা নিজেদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচয় দিতে পারেননি। আজও চোখে পড়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা রিক্সা চালাচ্ছে আর রাজাকার রিক্সায় বসে পায়ের ওপর পা তুলে পান চিবোচ্ছে। আজও চোখে পড়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা অন্যের বাড়িতে কামলা খাটছে, চোখে পড়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা অভাবের তাড়নায় ভিক্ষা পর্যন্ত করেছে, যা বেদনাদায়ক। বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার দেশ পরিচালনা করছে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জামুকায় গেলে চোখে পড়ে শত শত প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ভিড় জমাচ্ছে। তাদের চোখমুখের আকুতি দেখলেই বোঝা যায় এরা প্রকৃত আওয়ামী ঘরনার মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু দুঃখের বিষয়, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জামুকার কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে, যা সহ্য করার মতো নয়। সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে ও জামুকায় যেসব প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ঘোরাফেরা করছে তাদের হৃদয়ের স্পন্দন শোনার চেষ্টা করুন। তাদের চোখের ভাষা বুঝে তাদের নাম মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করুন। গত ৩১/১০/২০১৪ তারিখের মধ্যে ইন্টারনেটে যারা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্তির জন্য আবেদন করেছেন তাদের ৯০ ভাগই আওয়ামী ঘরানার মুক্তিযোদ্ধা। তাই কোন দুষ্টচক্রের দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে ১৯৭৫-এর পরবর্তী সময় যেসব ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা লাল বই, মুক্তিবার্তাসহ বিভিন্ন তালিকায় তালিকাভুক্ত হয়েছে তাদের দ্রুত শনাক্তকরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। লাল বই, মুক্তিবার্তায় লুকিয়ে থাকা স্বাধীনতাবিরোধী একটি চক্র সব সময় অপতৎপরতায় লিপ্ত। এরা মুক্তিযুদ্ধের শ্রেষ্ঠ সেøাগান জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বলতে চায় না। তদন্তপূর্বক তাদের শনাক্ত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করুন এবং প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার ডিজিটাল তালিকা প্রস্তুত করার জন্য নির্দেশ প্রদান করুন। কাজটি জটিল। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর একার পক্ষে কাজটি করা সম্ভব নয়। তাই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা এমপি অথবা মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে দিয়ে কাজটি শুরু করা যেতে পারে। সাইফুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা ফুলবাড়ী, দিনাজপুর বই হোক বন্ধু বই মানুষের জীবন আলোকিত করে। হৃদয়কে করে প্রসারিত। বই জ্ঞানের প্রতীক। যে যত বই পড়বে তার তত বেশি জ্ঞানের প্রসার ঘটবে। মহানবী (সা) বলেছেন, জ্ঞান অর্জনের জন্য সুদূর চীনে যাও। আগেকার দিনে মানুষ ভ্রমণের মাধ্যমেই জ্ঞান অর্জন করত। কিন্তু এখন যুগ পাল্টেছে। আমরা এখন ঘরে বসে বইয়ের মাধ্যমে সৈই জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হচ্ছি। এটি আরও সহজ করে দিয়েছে আমাদের অমর একুশে বইমেলা, যেখান থেকে আমাদের পছন্দমতো বই কিনে পড়তে পারছি। আমাদের সময় ক্লাসের বইয়ের পাশাপাশি অবসরে বিভিন্ন লেখকের গল্পের বই ও গোয়েন্দা কাহিনীনির্ভর বই পড়তাম, কিন্তু সেটা এখন আর দেখা যায় না বললেই চলে। আমাদের ছেলেমেয়েরা কেন জানি বইবিমুখ হয়ে পড়ছে। কারণ খুঁজতে গিয়ে আমার মনে হচ্ছে-কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাবÑ এগুলোর প্রতি অতিমাত্রায় আসক্ত হয়ে পড়ছে, যার ফলে বইয়ের জগৎ থেকে তারা হারিয়ে যাচ্ছে। তবে এগুলো যদি সঠিকভাবে কাজে লাগায় তাহলে এখান থেকেও অনেক কিছু শেখার আছে। আশার কথা এই যে, প্রতি বছরই বইমেলায় তারুণ্যের যে জয়জয়কার লক্ষ করা যাচ্ছে, তাতে যে হতাশায় আমরা নিমজ্জিত হচ্ছিলাম সেখান থেকে আলোর আভাস দেখতে পাচ্ছি। তাছাড়া বাবা-মায়েরা বইমেলায় গিয়ে সন্তানদের জন্য পাঠ উপযোগী বই উপহার দেই তাহলে তারা যেমন খুশি হবে এবং উৎসাহিত হয়ে তাদের বন্ধু-বান্ধবদেরও বই উপহার দেবে; এভাবে এক সময় বই পড়ার প্রতি মানুষের আগ্রহ সৃষ্টি হবে। ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবালের বক্তব্য- পৃথিবীতে বই পড়ে কেউ নষ্ট হয়ে যায়নি কিন্তু বই না পড়ে পুরোপুরি অপদার্থ হয়ে গেছে এমন উদাহরণ অনেক আছে। পড়িলে বই, আলোকিত হই না পড়িলে বই, অন্ধকারে রই। তাই বেশি বেশি বই পড়লে আমাদের যেমন মননশীলতা বৃদ্ধি পাবে ঠিক তেমনিভাবে অনেক অজানা তথ্য জানার ফলে আমরা নিজেরাও আলোর পথে অগ্রসর হতে পারব। টলস্টয় বলেছেন, মানুষের জীবনে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। তা হচ্ছেÑ বই বই আর বই। তাই আমাদের বইয়ের সঙ্গে প্রেম করতে হবে। কারণ সবাই ছেড়ে গেলেও বই কখনও ছেড়ে যাবে না। সে পরম নির্ভরতা নিয়ে পাশে দাঁড়াবে। একাকিত্ব দূর করবে। তাই বই হোক আমাদের পরম বন্ধু। সঞ্চিতা পোদ্দার মেহেরপুর সদর, মেহেরপুর জাতীয় ঐক্য চাই ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছিলাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ‘জয় বাংলা’, ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ সেøাগান দিয়ে। এজন্য প্রতিটি দলের সেøাগান হওয়া উচিতÑ ১. ‘জয় বাংলা’ এবং ‘জয় বঙ্গবন্ধু’। ২. প্রতিটি রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি রাখা। ৩. ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের দিনে মিথ্যা জন্মদিন পালনের নামে কেক কাটা বন্ধ করা। ৪. একাত্তরের স্বাধীনতাযুদ্ধ ৩০ লাখ শহীদকে নিয়ে বিতর্ক বন্ধ করা। ৫. ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনার ঘোষণা দেন এবং ওই রাতেই দেশের প্রতিটি জেলা-মহকুমায় ছাত্রলীগের কর্র্র্মীরাই সারারাত মাইকে প্রচার চালিয়েছিলেন : ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেনÑ আপনারা উঠুন, যার যা কিছু আছে তা নিয়ে নামুন। হানাদার পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নিন।’ আমি তখন ছিলাম পিরোজপুর কলেজের ছাত্র- ছাত্রলীগের কর্মী। সেই স্মৃতি আজও ভুলিনি। তাই স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে আর বিতর্ক না করা। ৬. লুটপাট, ঘুষ, দুর্নীতি, দখল, নির্যাতন, বাড়িঘর দখল- ইত্যাদি যারা করবেন এদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এসব বিষয়ে দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে চাই ঐক্য। লিয়াকত হোসেন খোকন রূপনগর, ঢাকা
×