ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

বিদ্যুত বিল

প্রকাশিত: ০৭:৩৯, ২০ জানুয়ারি ২০১৬

বিদ্যুত বিল

চট্টগ্রাম বিদ্যুত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিদ্যুত বিল নিয়ে তুঘলকি কা- শুরু করেছে। ২/৩ মাস ধরে প্রতিমাসে এসে রিডিং নিয়ে যাচ্ছে অথচ বিল দিচ্ছে বিদ্যুত মিটার রিডিংয়ের ২/৩ শ’য়ের বেশি। বিদ্যুত বিল পরিশোধ করতে গেলে বিদ্যুত বিল দেয়ার জন্য ব্যাংকে লাইন ধরলে তাদের একই রকম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। বিদ্যুত বিল নিয়ে যাচ্ছে রিডিং ম্যান নিজস্ব লোককে দিয়ে। গ্রাহককে না জানিয়ে মাঝে মধ্যে তারা বিদ্যুত মিটারের সিল খোলে। বিল প্রসঙ্গে তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করা হলে তারা বলে, আমরা অফিসের নির্দেশে এসব করছি। বিল পরিশোধ করে অফিসে যোগাযোগ করলে বলা হয়, কম্পিউটারে উঠে গেছে তাই পরে ঠিক করা হবে। তাপরও ঠিক হয় না। বিদ্যুত বিল যে লাউ সে কদু। তাই এ ব্যাপারে বিদ্যুত কর্তৃপক্ষের আশু সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এম. এ কাদের পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম একটি অন্যরকম দুর্ভোগ মানুষ নানা কারণে মামলা মোকদ্দমায় জড়িয়ে পড়ে। মামলায় জড়িয়ে পড়া মানে দুর্ভোগকে ডেকে আনা। বাদী-বিবাদীর অর্থ বেরিয়ে পড়ে। মামলায় জড়িয়ে পড়া মানুষের আদালতে আসা-যাওয়া যেমন কষ্টকর, তেমনি অনেক ব্যয়বহুলও বটে। দূরদূরান্ত জেলার বিচারপ্রার্থী মানুষজনকে নির্ধারিত তারিখের একদিন আগে জেলা শহরে আসতে হয়। আবাসিক হোটেলে থাকতে হয়। পরদিন আদালতে হাজির হতে হয়। হাজিরা ও প্রাথমিক কাজ শেষে আবার আবাসিকে রাত্রি যাপন করে পরদিন গন্তব্যের উদ্দেশে ফিরে যেত হয়। বাংলা আমাদের মাতৃভাষা, মানুষ কম বেশি বাংলা পড়তে ও লিখতে পারে এবং বুঝতে পারে কাজেই বাংলা ভাষায় বিচার কার্যক্রম ও রায় লেখা হলে সকলের জন্য ভাল হয়। যে সমস্ত বীর ছাত্র জনতা রাষ্ট্রভাষা বাংলার জন্য সংগ্রাম করেছেন, জীবন দিয়েছেন তাদের সেই আত্মত্যাগ সার্থক হবে। পৃথিবীর সকল দেশের সঙ্গে সমতালে চলতে হলে ইংরেজী ভাষা শিখতে হবে, পড়তে ও লিখতেও হবে এর কোন বিকল্প নেই। আমাদের দেশে ইংরেজীর প্রয়োজনটা যথাস্থানে হয় বলে মনে হয় না। কিছু মানুষ নিজেকে খুবই শিক্ষিত বলে প্রমাণ করতে স্থানে অস্থানে অর্ধশিক্ষিত অশিক্ষিত মানুষের সঙ্গে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের মতো ভুলভাল ইংরেজীতে কথা বলেন, যা মোটেও সঙ্গত নয়। কাজী নূরুল আমিন শ্রীনগর, মুন্সীগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা তালিকা হচ্ছে কি? ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৪ একটি শীর্ষ দৈনিকে সংবাদ প্রকাশ হয়েছিল যে আগামী ২৬ মার্চ, ২০১৫ মুক্তিযোদ্ধা তালিকা প্রকাশ করা হবে। বলা হয়েছে, লাল মুক্তি বার্তায় এবং ভারতীয় তালিকায় অর্থাৎ ভারতের বিভিন্ন ক্যাম্পে যারা সশস্ত্র ট্রেনিং গ্রহণ করেছিল এবং ভারতের ট্রেনিংক্যাম্পগুলোতে তালিকাভুক্ত হয়ে যুদ্ধ ক্ষেত্রে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, তাদের নাম, পিতার নাম ও স্থায়ী ঠিকানাসহ তালিকা ভারতেই তৈরি করা হয়েছিল। সেই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তালিকায় যাদের নাম রয়েছে, তাদের তালিকা সরকারীভাবে প্রকাশ করা হবে। স্মরণ করা যেতে পারে যে সরকারের পূর্ববর্তী আমলে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী ক্যাপ্টেন তাজুল ইসলামের নির্দেশে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়ন ক্ষেত্রে (মার নাম, স্থায়ী ঠিকানা ইত্যাদি আরও অনেক কিছু) ডাটাবেজ তৈরিসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিল কিন্তু কার্যত ফলাফল শূন্য। গত ৪৪ বছরে অনেক আঞ্চলিক কমান্ডার ও অনেক জেলা কমান্ডার এবং মুক্তিযোদ্ধা, সরকারের স্বীকৃতি, ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা না পেয়েই না-ফেরার দেশে চলে গেছেন। মৃত্যুবরণকারী ঐ সকল মুক্তিযোদ্ধার বেদনাভরা দীর্ঘশ্বাস এই বাংলাদেশের আকাশে-বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে। এই ৪৪ বছরে কতজন মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যুবরণ করেছেন তার একটি তালিকা হয়ত দৈনিক জনকণ্ঠ, দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক যুগান্তর, দৈনিক প্রথম আলোসহ বিভিন্ন পত্রিকা থেকে পাওয়া যেতে পারে (অবশ্য যাদের মৃত্যুজনিত তথ্য পত্রিকায় দেয়া হয়েছে)। প্রতিদিনই পত্রিকার পাতা খুললে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মৃত্যুর সংবাদ দেখতে পাওয়া যায়। মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা ক্রমশই কমছে। এসব কারণে আশঙ্কা হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশ পাবে কি? মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণকামী বর্তমান সরকারের কাছে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রত্যাশা সার্টিফিকেট ও আইডি কার্ডে সরকারের তরফ থেকে মুক্তিযোদ্ধারা কোন ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাবেন, সেসবের থাকতে হবে। মুক্তিযোদ্ধারা চান না তালিকা নিয়ে আর কোন দীর্ঘসূত্রতা হোক। নতুন এই তালিকা (প্রকাশের পর) অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধা ভাতার সরকারী ‘চেক’ মুক্তিযোদ্ধাদের দেয়া ঠিকানায় পাঠানোর বন্দোবস্ত করা হোক। সবশেষে বলতে চাই, কেন এই ৪৪ বছরেও মুক্তিযোদ্ধা তালিকা প্রণয়ন করা গেল না। এই ব্যর্থতার দায়ভার কে নেবে? সৈয়দ মোহাম্মদ শাহ্ আলম লালমাটিয়া, ঢাকা আত্মসমর্পণ দৃশ্য মুজিব-ইন্দিরা দুই দেশের দুই রাষ্ট্রপ্রধান। বাংলাদেশ-ভারত। ১৯৭১ সালে যুদ্ধ চলছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের যুদ্ধ। ব্যবধান ১২শত মাইল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী। যুদ্ধে ভারতের পক্ষে নির্দেশদানকারী ইন্দিরা গান্ধী। মাত্র ১০ মাস যুদ্ধে পরাজয় মেনে আত্মসমর্পণ করে পাকিদের পক্ষে রণক্ষেত্রের পরাজিত সৈনিক জেনারেল নিয়াজী। ছোট্ট একটি টেবিল। কাগজ কলম ওপরে রাখা আছে। পরাজিত দলিলে স্বাক্ষরদান করেন নিয়াজী। জয়ীদের পক্ষে অরোরা। সেদিন ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সাল। বিশ্ববাসী, বিশ্ব ইতিহাস, জাতিসংঘ সে দৃশ্য অবলোকন করে মনোযোগের সঙ্গে। বাঙালী জাতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি স্যালুট দেয় নিয়াজী। বিজয়দৃশ্য এবং করুণ দৃশ্য পাশাপাশি অবস্থান করছিল। নরহত্যা, খুন, ধর্ষণ, লুণ্ঠন, ইজ্জত হরণ প্রভৃতি কুকর্মে লিপ্ত পাকি সেনা ও রাজাকার বাহিনী ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়। ইয়াহিয়ার দাঁত সামনে চলে আসে। ভুট্টোর গলায় রশি। সেই আগুনে জ্বলছে পাকিস্তান। শয়তানী চলমান রেখেছে। ৪৪ বছর গত হয়েছে। পাকিস্তানী নাগরিকদের স্বাধীন বাংলাদেশে ফেলে রেখে মানবতাবিরোধী অপরাধ করছে পাকিস্তান সরকার। ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত ইন্দিরা গান্ধীর আত্মার প্রতি শান্তি কামনা করছি। স্বাধীন বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি স্যালুট। মেছের আলী শ্রীনগর, মুন্সীগঞ্জ
×