ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২

মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার হুমকি ইরানের

জনকণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৩:২০, ২৩ জুন ২০২৫; আপডেট: ২৩:২৩, ২৩ জুন ২০২৫

মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার হুমকি ইরানের

ইরান থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর রবিবার ইসরাইলের তেল আবিবে উদ্ধারকর্মী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন (বাঁয়ে), হাইফায় ক্ষতিগ্রস্ত বাসভবন থ

ইরানের অভিজাত ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কোরের (আইআরজিসি) মুখপাত্র ইব্রাহিম জোলফাঘারি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যুদ্ধে ঢুকে গেছে এবং ইরানের ভূমির পবিত্রতা নষ্ট করেছে। যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি দিয়ে এই মুখপাত্র আরও বলেন, এখন ‘যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে শক্তিশালী আর সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে অভিযান চালানো হবে।’ ইব্রাহিম বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে ‘জোরালো, দুঃখজনক ও অপ্রত্যাশিত পরিণতি’ ভোগ করতে হবে।
ইব্রাহিম বলেন, ‘মি. ট্রাম্প, আপনি জুয়াড়ি! আপনি এ যুদ্ধ শুরু করতে পারেন, কিন্তু আমরাই এটি শেষ করব!’ এদিকে ইরানের তিনটি পরমাণু স্থাপনায় হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন ঘাঁটিগুলোতে হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছেন ইরানি কর্মকর্তারা। ইরান হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলোকে এখন টার্গেট করা হবে।

ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর নতুন প্রধান আবদুল রহিম মোসাভি এক বিবৃতিতে বলেন, অপরাধী যুক্তরাষ্ট্রের জানা উচিত যে, ইসরাইল নামের অবৈধ ও আগ্রাসী দেশটির শাস্তির পাশাপাশি ইসলামের যোদ্ধাদের হাত এখন যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ ও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য মুক্ত। এ বিষয়ে আমরা কখনোই পিছপা হব না। 
ইরানের শিক্ষা ও গবেষণাবিষয়ক উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সাঈদ খাতিবজাদে বলেছেন, পরমাণু স্থাপনাগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলার জবাবে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে, সে সিদ্ধান্ত ইরান নিজের মতো করেই নেবে। মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলোতে ইরানের হামলার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না উল্লেখ করে তিনি বলেনÑ কখন, কীভাবে এবং কোন্ মাত্রায় আমেরিকানদের জবাব দেওয়া হবে, সে সিদ্ধান্ত ইরান নেবে। অন্যদিকে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত একটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা হয়েছে। সোমবার দেশটির হাসাকাহ প্রদেশের কাসরুক এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। তবে ঠিক কারা এই হামলা চালিয়েছে তা প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি। 
মার্কিন হামলার পর ইরানীদের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। সোমবার তিনি বলেন, আমরা ইরানীদের সহায়তা দিতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগে আগ্রাসন চালানো হচ্ছে, তা ‘ভিত্তিহীন’। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি সোমবার মস্কোয় পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকের শুরুতেই পুতিন এ কথা বলেন। এ সময় আরাগচি ইরানে মার্কিন হামলার নিন্দা জানানোর জন্য পুতিনকে ধন্যবাদ জানান। আরাগচি বলেন, রাশিয়া ‘ইতিহাসের সঠিক পক্ষে’ রয়েছে।
অপরদিকে ইসরাইল ও তার মিত্রদের পক্ষ থেকে ইরানে যে হামলা চালানো হচ্ছে, সেটি থেকে বড় ধরনের বিপর্যয় ঠেকাতে জোরালো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তুরস্ক। 
খবর আলজাজিরা, বিবিসি ও মেহের নিউজ অনলাইনের। 
ইরান-ইসরাইল যুদ্ধের একাদশতম দিন সোমবার উভয় দেশ পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়েছে। এদিন ইসরাইলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে দফায় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এদিকে ইসরাইল ইরানের ফোর্দো পারমাণবিক প্রকল্পসহ দেশটির একাধিক স্থাপনা টার্গেট করে। ইসরাইলের সামরিক বাহিনী আইডিএফ এক বিবৃতিতে জানায়, ইরানের ফোর্দো পারমাণবিক স্থাপনায় সফল হামলা চালানো হয়েছে। তবে হামলার পর সেখানে কোনো ক্ষতি হয়েছে কি না-তা বলা হয়নি। 
মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা ॥ সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে কাসরুকে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে সোমবার হঠাৎ করে হামলা চালানো হয়। হামলার ধরন বা এতে কী ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সে বিষয়ে এখনো স্পষ্ট কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। তবে স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, ঘাঁটিতে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে এবং এলাকাজুড়ে সাময়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পর মার্কিন সেনারা পুরো ঘাঁটির চারপাশ ঘিরে ফেলে এবং ওই এলাকায় ব্যাপক নজরদারি শুরু করে। 
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এলাকাজুড়ে ড্রোন ও সামরিক হেলিকপ্টারের গতিবিধি লক্ষ্য করা গেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার পটভূমিতে একটি বড় বার্তা বহন করছে। 
এদিকে ইরানে মার্কিন বিমান হামলার পর হরমুজ প্রণালিতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। জাহাজ চলাচলেও তার প্রভাব পড়ছে। সোমবার হরমুজ প্রণালি থেকে কয়েকটি তেল পরিবহনের জাহাজ ফিরে দেওয়া হয়। এমন পরিস্থিতিতে জাহাজগুলোর হরমুজ প্রণালি এড়িয়ে চলার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। জাহাজ চলাচলের তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার বলা হয়, রবিবার ‘কোসউইজডম লেক’ ও ‘সাউথ লয়্যালটি’ নামের দুটি খালি সুপারট্যাংকার হরমুজ প্রণালিতে প্রবেশ করলেও তারা আচমকা গন্তব্য বদলে ফেলে।

দুটি জাহাজের প্রতিটিতে প্রায় ২০ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল পরিবহনে সক্ষম। ‘চলমান উত্তেজনার মধ্যে জাহাজগুলোর ফিরে যাওয়া মধ্যপ্রাচ্যে বিকল্প রুটে চলাচল শুরুর প্রথম ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে। চলমান সংকট সরবরাহ ও পরিবহন ব্যবস্থায় কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে, সে বিষয়ে জাহাজের মালিক ও ব্যবসায়ীরা সতর্কভাবে নজর রাখছেন।
পারস্য উপসাগরের একমাত্র সামুদ্রিক প্রবেশপথ এই হরমুজ প্রণালি। ইরান এর আগে একাধিকবার এ পথ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানিবিষয়ক দপ্তরের তথ্যমতে, বৈশ্বিক তেল সরবরাহের প্রায় ২০ শতাংশ হরমুজ প্রণালির মধ্য দিয়ে যায়। সংস্থাটি একে ‘বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি পরিবহনের পথ’ হিসেবে উল্লেখ করে। 
এরপরই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ইরানকে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য পথ হরমুজ প্রণালি বন্ধ করা থেকে বিরত রাখতে চীনের প্রতি আহ্বান জানান। রুবিও ফক্স বলেন, ‘আমি চীন সরকারকে উৎসাহ দিচ্ছি, তারা যেন এ বিষয়ে ইরানকে ফোন করে। কারণ, চীন হরমুজ প্রণালির ওপরই তাদের তেলের জন্য ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল।
রুবিও বলেন, ইরান যদি হরমুজ প্রাণালি বন্ধ করে তবে তা ভয়াবহ ভুল হবে। তিনি বলেন, তাদের জন্য এটি অর্থনৈতিক আত্মহত্যা হবে, আমরা এটি মোকাবিলার বিকল্প রাখি। তিনি বলেন, ‘তবে অন্যান্য দেশেরও এটির দিকে নজর দেওয়া উচিত, এটি অন্যান্য দেশের অর্থনীতিকে আমাদের চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করবে। আমার মনে হয়, এটি একটি বিশাল উত্তেজনা সৃষ্টি করবে। এর প্রতিক্রিয়া কেবল আমাদের নয়, অন্যদের কাছ থেকেও আসা যুক্তিযুক্ত।
ইরানিদের পাশে থাকার ঘোষণা পুতিন ও এরদোয়ানের ॥ ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি সোমবার মস্কোয় পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় পুতিন বলেন, আমরা ইরানিদের সহায়তা দিতে প্রস্তুত। আরাগচি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ও প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ানের শুভেচ্ছা পুতিনকে পৌঁছে দেন। পুতিনের পর ইরানিদের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান। এরদোয়ান বলেন, আঙ্কারা কখনোই ইরানের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার বিরুদ্ধে কোনো হামলাকে সমর্থন করে না। ওই হামলা যে পক্ষ থেকেই আসুক না কেন, স্পষ্টভাবে আমরা আমাদের প্রতিক্রিয়া জানাব।
সংকট সমাধানে কূটনীতিতে আগ্রহী ট্রাম্প ॥ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মনে করেন, পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় না বসলে ইরানের জনগণের উচিত সরকারকে সরিয়ে দেওয়া। তবে তিনি এ সংকট সমাধানে কূটনীতিতে ‘এখনো আগ্রহী’। হোয়াইট হাউস সোমবার এ কথা জানায়।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লেভিট সোমবার বলেন, যদি ইরান সরকার শান্তিপূর্ণ কূটনৈতিক সমাধানে রাজি না হয়, তাহলে ইরানিদের কয়েক দশক ধরে দমনকারী সরকারের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার অধিকার জনগণের রয়েছে। তিনি বলেন,  ইরান নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখনো কূটনীতিতে আগ্রহী। যদিও মার্কিন শীর্ষ কর্মকর্তারা বারবার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য ইরানে সরকার পরিবর্তন নয়। তবে হঠাৎ তারা মত পাল্টালেন। 
সংঘাত দ্রুত শেষ করতে চাচ্ছে ইসরাইল ॥  ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ব্যাপক হামলার পর তেহরানের সঙ্গে চলমান সংঘাত দ্রুত শেষ করতে চাচ্ছে ইসরাইল। এই লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র তার আরব মিত্রদের মাধ্যমে ইরানের কাছে ইসরাইলের বার্তা পৌঁছে দিয়েছে। সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে আরব ও ইসরাইলি কর্মকর্তাদের বরাতে বলা হয়, ইসরাইল চায় সংঘাত দ্রুত শেষ হোক, তবে সেই সিদ্ধান্ত এখন ইরানের ওপর নির্ভর করছে।

সোমবার ইসরাইলের টেলিভিশন চ্যানেল-১২ জানিয়েছে, ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামের সামরিক অভিযানের মাধ্যমে ইরানকে পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হুমকি থেকে মুক্ত করার পরিকল্পনা করছে তেল আবিব। ইসরাইল মনে করছে, তারা খুব শীঘ্রই তাদের কৌশলগত সামরিক লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে।
ইরান-ইসরাইল হামলা-পালটা হামলায় উত্তাল হয়ে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্য। ইসরাইলের সঙ্গে সমন্বয় করে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে পড়ায় পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়ে উঠেছে। এরই প্রেক্ষাপটে কাতারে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের ‘লুকিয়ে থাকার’ পরামর্শ দিয়েছে দোহায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস।  
সোমবার দূতাবাসটি এক সতর্ক বার্তায় জানায়, সতর্কতা হিসেবে আমরা কাতারে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত যেখানে আছেন সেখানেই অবস্থান করতে বলছি। ওই বার্তায় এই নির্দেশনার পেছনে কোনো নির্দিষ্ট কারণ কিংবা হুমকির বিবরণ দেওয়া হয়নি। দূতাবাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলা হয়, অতিরিক্ত সতর্কতার অংশ হিসেবে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এই সতর্কতা এসেছে এমন এক সময়, যখন ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে চলমান সংঘাত অঞ্চলজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্র শনিবার মধ্যরাতে ইরানের ৩টি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানোর পর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
এর জেরে ইরান যে মধ্যপ্রাচ্যের মার্কিন ঘাঁটিগুলোর প্রতি পাল্টা পদক্ষেপ নিতে পারে-এমন আশঙ্কা থেকেই কাতারে এই সতর্কতা জারি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগেও, গত সপ্তাহে কাতারে মার্কিন দূতাবাস তাদের কূটনীতিক ও নাগরিকদের ‘বাড়তি সতর্কতা’ অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছিল।
কাতার দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম ঘনিষ্ঠ নিরাপত্তা মিত্র। দেশটিতে অবস্থিত ‘আল উদেইদ এয়ার বেস’ হলো যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে সর্ববৃহৎ সামরিক ঘাঁটি। এই ঘাঁটি থেকেই যুক্তরাষ্ট্র তাদের আঞ্চলিক বিমান অভিযান এবং নিরাপত্তা তৎপরতার বড় একটি অংশ পরিচালনা করে থাকে।
১৩ জুন থেকে ইরানে ইসরাইলের টানা হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৫০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে সোমবার দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে এ তথ্য জানানো হয়। তবে ইরানের একটি মানবাধিকার সংস্থা ‘হিউম্যান রাইটস অ্যাক্টিভিস্টস ইন ইরান’ নিহত মানুষের সংখ্যা এর প্রায় দ্বিগুণ বলে মনে করে।

আরো পড়ুন  

×