ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৮ মে ২০২৫, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে

রাজনৈতিক দলগুলোর অনেকেই অংশ নিতে ভয় পেয়েছিল

প্রকাশিত: ১৫:৩৯, ২৭ মে ২০২৫

রাজনৈতিক দলগুলোর অনেকেই অংশ নিতে ভয় পেয়েছিল

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, চলমান সংস্কার প্রক্রিয়া ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ ফের স্বৈরাচারের কবলে পড়বে এবং তাতে ব্যাপক রক্তপাত ও অঙ্গহানির আশঙ্কা রয়েছে।

মঙ্গলবার এক বক্তব্যে তিনি বলেন, “এই সংস্কারের কার্যক্রম যদি আমরা শেষ করতে না পারি, তাহলে আবার বাংলাদেশের ওপর স্বৈরাচারের ছায়া নেমে আসবে। সেখানে অনেক মানুষের অঙ্গহানি হবে, রক্তপাত হবে।”

তিনি ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান প্রসঙ্গে বলেন, “এটি ছিল সাধারণ নাগরিকদের অভ্যুত্থান। রাজনৈতিক দল ও পক্ষগোষ্ঠীগুলো আমাদের আবার দমন করতে চায়। যদি তারা সফল হয়, তাহলে আমরা পাঁচ তারিখের রিয়ারেক্টমেন্ট কিংবা জুলাইয়ের রিয়ারেক্টমেন্টে ফিরে যাব। কারণ এখনো ১৮ কোটি মানুষের জীবন আছে, যাদের জীবন দিয়ে হলেও মর্যাদার প্রশ্নে আমরা কারো সঙ্গে আপোষ করব না।”

নাসির উদ্দিন আরও বলেন, “মর্যাদার এই লড়াইয়ে যতদিন বাংলাদেশ ও এ দেশের মানুষ বেঁচে থাকবে, ততদিন তারা লড়াই চালিয়ে যাবে। তাদের মুখপাত্র হিসেবে জাতীয় নাগরিক পার্টি আগামীর বাংলাদেশে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাবে।”

পার্টি গঠনের পেছনে উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “আমরা পার্টি গঠনের সময় ‘সিটিজেন’ শব্দটিকে গুরুত্ব দিয়ে হাজির করেছিলাম। কারণ ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে যারা অংশগ্রহণ করেছিল তারা ছিল নিতান্ত শ্রমিক, মজুর, আলেম, নারী, হিন্দু, সমাজের প্রান্তিক মানুষ এবং রাইজিং মিডল ক্লাস। এই বিভিন্ন শ্রেণিকে একীভূত করে একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্য ছিল আমাদের।”

তিনি ১৯৯০ সালের গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে ২০২৪ সালের তুলনা করে বলেন, “৯০-এর আন্দোলন হয়েছিল রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃত্বে। কিন্তু ২৪-এর আন্দোলন হয়েছিল সাধারণ নাগরিকদের সক্রিয় অংশগ্রহণে। রাজনৈতিক দলগুলোর অনেকেই অংশ নিতে ভয় পেয়েছিল, পিছপা হয়েছিল। সেই সময় ছাত্ররাই মানুষের আস্থা ও ভরসা অর্জন করেছিল এবং আন্দোলনের নেতৃত্বে উঠে আসে।”

 

সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=29eQVe5iL_o

আবির

আরো পড়ুন  

×