ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

মহার্ঘ্য ভাতার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছি: অর্থ উপদেষ্টা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার।।

প্রকাশিত: ১৫:১৪, ২০ মে ২০২৫

মহার্ঘ্য ভাতার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছি: অর্থ উপদেষ্টা

মহার্ঘ্য ভাতার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছি। এটার জন্য কমিটিকে দায়িত্ব দিয়েছি। হওয়ার সম্ভাবনা মোটামুটি বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, সামনে বাজেট, এজন্য হয়তো একটু সময় লাগবে। আমি ওয়ার্ক আউট করে দেখি, কখন থেকে দিতে পারবো, কত দিতে পারবো।

মঙ্গলবার (২০ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি ও অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

বাজেটে মহার্ঘ্য ভাতা নিয়ে কী থাকছে,এমন এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, মহার্ঘ্য ভাতা নিয়ে এখন কিছু বলবো না। আমরা কাজ করছি, দেখছি। এটা নিয়ে আমরা অ্যাকটিভলি কনসিডার করছি। একটা কমিটিকে দায়িত্ব দিয়েছি। তারা কাজ করছেন, সেটা করে আমার কাছে দেবেন।

‘মহার্ঘ্য ভাতা হচ্ছে কি?’এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, হওয়ার চ্যান্স মোটামুটি, একটু সময় লাগবে। বাজেটে আমি ওয়ার্ক আউট করে দেখি, কখন থেকে দিতে পারবো, কত দিতে পারবো।

এমাউন্ট কত হতে পারে?এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা বলা যাবে না, এটা বললেই তো সব বলা হয়ে যাবে।

১০ থেকে ১৫ শতাংশের একটা কথা শোনা যাচ্ছে, বিষয়টা কি এরকম,জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বিষয়টা ওয়ার্ক আউট করছি। যখন ফাইনাল করবো, এরপর কেবিনেটে যাবে, প্রধান উপদেষ্টা অনুমোদন দেবেন, তারপর জানতে পারবেন।

সরকারি চাকুরিজীবীরা হতাশ হয়ে গেছেন,এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেটা হওয়ার সুযোগ নেই, আমরা কনসিডার করবো।

‘তাহলে বলতে পারি সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য সুখবর আছে’,এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এমন কিছু বলার দরকার নেই, তবে আমরা বিবেচনা করবো।

স্থলবন্দর দিয়ে রপ্তানি বন্ধ করা হয়েছে, ফলে কী প্রভাব পড়তে পারে এবং সে বিষয়ে পদক্ষেপ কী নেওয়া হবে,জানতে চাইলে তিনি বলেন, আজকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনা করবো। আমি তো এখনই বলতে পারবো না। ওনারা আসবে আমার কাছে কথা বলতে। আপনারা আইসেন না।

‘আজকে বিকালে তো আপনার কাছে এনবিআর আসবে’,সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এনবিআর এর বিষয়ে আমি কিছু বলবো না। একই সঙ্গে এনবিআরকেও মন্ত্রণালয়ে কিছু বলতে দেবো না। যদি কাভারেজ করেন তাদের ইস্যু, তাহলে আমি প্যানিশমেন্টের ব্যবস্থা নেবো। আমি বাংলাদেশ ব্যাংকে থাকতে যখন ব্যাংকারদের সাথে কথা বলেছি, তাদের স্পষ্ট বলে দিতাম,কোনো ব্যাংকার, চেয়ারম্যান বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ে কিছু বলবেন না।

তিনি বলেন, আতিউর রহমানের সময় দেখেছি চেয়ারম্যানরা কথা বলে,‘আমি এই করেছি, সেই করেছি’। আমি কিন্তু এগুলো এলাউ করবো না। এনবিআর যদি কিছু বলতে চায়, বাইরে গিয়ে বলবে।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আজকের বৈঠকে আমরা এলএনজিসহ কয়েকটি পণ্য দ্রুত আমদানি করার অনুমোদন দিয়েছি। এছাড়া কয়েকটা ভূতাপেক্ষ বিষয় ছিলো,সিলেট, হবিগঞ্জের সড়কগুলো বন্যায় নষ্ট হয়ে গেছে। একই সাথে যশোর মেডিকেল কলেজের হাসপাতালটা হয়নি, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ আছে,হাসপাতাল হয়নি। হাসপাতাল ছাড়া মেডিকেল কলেজ কোনোভাবেই কার্যকর নয়। এগুলো আমরা অনুমোদন দিয়েছি।

আফরোজা

×