
পিলখানা বিদ্রোহ-সংক্রান্ত বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় জামিনে মুক্তি পেয়েছেন সাবেক বিডিআর এর ২৭ জন সদস্য। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে গাজীপুরের কাশিমপুরের তিনটি কারাগার থেকে পর্যায়ক্রমে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। এদিকে সকাল থেকেই কারা ফটকে ভিড় করেন মুক্তিপ্রাপ্তদের আত্মীয়-স্বজনরা।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, গত সোমবার কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত বিশেষ আদালতের (প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ) বিচারক ইব্রাহীম মিয়া ৪০ জন আসামির জামিন মঞ্জুর করেন। ওই জামিনাদেশ অনুযায়ী বৃহস্পতিবার কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ১১ জন, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১ থেকে ৫ জন এবং কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২ থেকে ১০ জনসহ মোট ২৬ জন মুক্তি পান। এর আগের দিন বুধবার আরও একজন একই মামলায় জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার এর জেল সুপার মোহাম্মদ আল মামুন জানান, বুধবার বিকেলে মুক্তিপ্রাপ্তদের জামিন সংক্রান্ত কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছায়। যাচাই-বাছাই শেষে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, "আইনি প্রক্রিয়া শেষে সংশ্লিষ্টদের পরিবারে ফেরত পাঠানো হয়েছে।"
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে পিলখানায় বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দফতরে সংঘটিত রক্তক্ষয়ী বিদ্রোহে হত্যা ও বিস্ফোরকসহ একাধিক মামলায় কয়েকশত বিডিআর সদস্যকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে হত্যা মামলায় খালাসপ্রাপ্ত ১৭৮ জন সদস্য পূর্বেই বিস্ফোরক আইনের মামলায় জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন। সর্বশেষ ৪০ জনের জামিন মঞ্জুরের ফলে এ মামলায় জামিনপ্রাপ্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২১৮ জনে।
জামিনে মুক্তি পাওয়া সাবেক বিডিআর সদস্যরা ও তাদের স্বজনরা কারাগার থেকে বেরিয়ে আবেগঘন পরিবেশে একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন এবং উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
নোভা