
ছবিঃ সংগৃহীত
এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ সম্প্রতি তার ব্যক্তিগত ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে বলেন, “‘মার্চ ফর গাজা’র মানুষের ঢল দেখে জুলাই-আগস্টের মতো একটি মুহূর্ত মনে হয়েছে।”
তিনি বলেন, আজকে (১২ এপ্রিল) বাংলাদেশে একটি বড় কর্মসূচি ছিল ‘মার্চ ফর গাজা’ নামে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে যে দফায় দফায় অত্যাচার শুরু হয়েছে, মানবতাবিরোধী অপরাধ শুরু হয়েছে ইসরায়েলের নেতৃত্বে গাজায়—এবং সেটা এখনো চলমান রয়েছে। ইতিমধ্যে অফিসিয়াল বা দাপ্তরিক মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে এবং আনঅফিসিয়ালি হাজার হাজার নারী, পুরুষ, শিশু নিখোঁজ রয়েছে। আমরা আসলে জানি না পশ্চিম তীরে, গাজার তীরে অথবা সিরিয়া ও লেবাননে যে ইসরায়েলি গণহত্যার চেষ্টা চলছে, সেখানে আসলে কত মানুষ শহিদ হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, এই গণহত্যা নিয়ে ইউরোপসহ অনেক জায়গাতেই অনেক প্রতিবাদ-বিক্ষোভ দেখেছি এবং আমি নিজেও লন্ডনে দেখেছি প্রতিবাদ মিছিল এবং তাতে অংশগ্রহণ করেছি। কিন্তু বাংলাদেশে এই প্রতিবাদ মিছিল এতটা জনপ্রিয় বিষয় ছিল বলে কখনো মনে হয়নি।
তিনি বলেন, আজকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যে সমাবেশ হয়েছে এবং তাতে যে মানুষের উপচে পড়া ভিড় বা জনস্রোত আমরা রাস্তায় দেখেছি—তা ২০১৩ সালে হেফাজতের বড় বড় সমাবেশগুলোর কথা মনে করিয়ে দেয়, যা আমরা গণমাধ্যমে বা টিভিতে দেখেছি। এত স্বতঃস্ফূর্ত সমাবেশ, যেখানে আমরা দেখলাম প্রতিটি পাড়া-মহল্লা থেকে মসজিদের ইমামদের নেতৃত্বে, মুসল্লিদের নেতৃত্বে মানুষ দলে দলে হেঁটে আসছে এবং সেই হাঁটাগুলো এক সময় বিন্দু বিন্দু হয়ে মহাসমাবেশে পরিণত হয়েছে। এবং অধিকাংশ মুসল্লি, তাওহিদি জনতা আসলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মাঠে ঢুকতেই পারেনি।
ব্যারিস্টার ফুয়াদ এই মহাসমাবেশের আয়োজকদের এবং অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, আয়োজকদের ডাকে মানুষ যে সাড়া দিয়েছে—এটা একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। এবং গত বছরের ৫ই আগস্ট বা জুলাই-আগস্টে সারা বাংলাদেশে যে মানুষের ঢল দেখেছিলাম, ঠিক সেরকম একটি মুহূর্ত মনে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এরকমভাবেই সকল অন্যায়-অত্যাচার, জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে আমাদের সবসময় ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
সূত্রঃ https://www.facebook.com/BarristerFuaad/videos/604888149262292/
ইমরান