
ছবিঃ সংগৃহীত
মাত্র ৬ মাস হয়েছিলো চাকরির বয়স, সেই সুবাদে করেছিলেন বিয়ে। তাও মাত্র ১৪ দিনের সংসার, আর ১৬ বছরের কারাবাস। এ যেন জীবনের নিষ্ঠুর পরিহাস। জীবনের যুদ্ধে তারা দুজনেই যেন গাজী। একজন পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় ১৬ বছর যুদ্ধ করেছেন অন্ধকার কারাগারে। আর অন্যজন, মাত্র ১৪ দিনের সংসারকে পুঁজি করে কাটিয়ে দিয়েছেন জীবনের দীর্ঘতম ১৬ বছর।
সম্প্রতি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ঘরে ফিরেছে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আউলিয়াপুরের বিডিআর সদস্য মোতাহার হোসেন মানিক। এটি তারই জীবনের গল্প।
যেখানে সামান্য কিছুতেই কাছের মানুষ দূরে চলে যায়, সেখানে এই ছেড়ে যাওয়ার যুগে তার স্ত্রী চাইলেই সবকিছু পিছনে ফেলে নতুন জীবন পথে হাটতে পারতেন। কিন্ত তিনি মাত্র ১৪ দিনের সংসারকে হৃদয়ে ধারণ করে কাটিয়ে দিয়েছেন ১৬ বছর।
তিনি বলেন, আমার স্ত্রীকে আমি শুধু সম্মান করি না, তাকে অনেক ভালোওবাসি। আমার মা-বাবাকে সে আগলে রেখেছে আমার অবর্তমানে। আমার নতুন চাকরি ছিলো তখন, বিয়ে করতে চাচ্ছিলাম না। তাও মা-বাবা বিয়ে দিলেন, কারণ তারা নাহলে একা হয়ে যায়, কথা বলার কেউ নেই। সেই মানুষটা এত বছর ধরে আমার পরিবারকে আগলে রেখেছে, আমার জীবনে এর থেকে বড় কিছু নেই আর।
এদিকে বেবি আক্তার জানান, ১৪ দিনের মাথায় স্বামী কারাগারে চলে যান। তখন থেকে স্বামীর অপেক্ষায় ছিলেন তিনি৷ দিন গড়িয়ে বছর হয়েছে, বছর গড়িয়ে দশক তবুও মুক্তি মেলেনি স্বামীর। ১৬ বছরে সেই দিন এলো। আমার মনে হয়েছিলো আমার শ্বশুর-শাশুড়ির পাশে থাকা উচিত, অনেক মানুষ অনেক কিছু বলেছে কেন আছি, তবুও আমার বিশ্বাস ছিলো স্বামী ফিরে আসবে।
রিফাত