ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

সংবিধানসহ রাষ্ট্র পুনর্গঠনে সেনাবাহিনীর সহায়তা দাবি

প্রকাশিত: ২৩:৫০, ৭ নভেম্বর ২০২৪

সংবিধানসহ রাষ্ট্র পুনর্গঠনে সেনাবাহিনীর সহায়তা দাবি

ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি করার পাশাপাশি নতুন সংবিধান প্রণয়নসহ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পুনর্গঠনে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা দাবি করেছে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ।

 

 

প্রধান বিচারপতি, সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা, নাগরিক ও রাজনীতিকদের যুক্ত করে আগামী পাঁচ বছরকে জাতীয় সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করে ড. ইউনূস ও  সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ্জামানের নেতৃত্বে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ গঠনেরও প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠনটি।

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরসি মজুমদার মিলনায়তনে  এসব প্রস্তাব তুলে ধরেন তারা।

বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদের সভাপতিত্বে  প্রধান অতিথি হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. আমিনুর রহমান মজুমদার, বিশেষ আলোচক হিসাবে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. আবদুল্লাহ আল ইউসুফ (অব.)  ও লে. কর্নেল এস এম আইয়ুব (অব.) উপস্থিত ছিলেন।

 

অনুষ্ঠানে ‘সিপাহী-জনতার ঐক্যে রাষ্ট্র পুনর্গঠনে ছয় দফা প্রস্তাবনায় রাষ্ট্র পুনর্গঠনে সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা কাঠামোতে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

প্রথম দফায় সেনাবাহিনীকে বর্তমান সংবিধান বাতিল করে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে রাষ্ট্রপতি শাসিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনে সর্বাত্মক সহায়তা ও নিরাপত্তা প্রদান করতে বলা হয়।

দ্বিতীয় দফায় একটি শক্তিশালী জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ গঠন করতে বলা হয় যার চেয়ারম্যান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রাষ্ট্রপতি ড. মুহম্মদ ইউনূস ও ভাইস চেয়ারম্যান সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান হবেন। 

তৃতীয় দফায় নতুন সংবিধান প্রণয়নে দ্রুত গণপরিষদ গঠন ও নির্বাচন পরিচালনা এবং পরবর্তীতে দ্রুত সংসদ নির্বাচনের পর নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা প্রদান তত্ত্বাবধান করার প্রস্তাব রাখা হয়।

চতুর্থ দফায় দেশের আর্থিক খাতের নিরাপত্তা তথা ব্যাংক, স্টকএক্সচেঞ্জ, আমদানি ও রফতানির লেনদেন সামরিক বাহিনীর মনিটরিং ও তত্ত্বাবধানে হওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়।

পঞ্চম দফায় দেশের সব উপজেলা পর্যন্ত স্থায়ীভাবে সেনা মোতায়েন করে সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গি হামলাসহ  জননিরাপত্তা সংক্রান্ত ইস্যুতে তাৎক্ষনিক সাড়া দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানানো হয়েছে। এক্ষেত্রে পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবির সহায়তা নিতে সেনাবাহিনীকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

ষষ্ঠ দফায় সেনাবাহিনী, জনপ্রশাসনসহ রাষ্ট্রের সর্বত্র ফ্যাসিবাদের দোসর, দুর্নীতিবাজ ও দেশ বিরোধীদের চিহ্নিত করে তাদের শূন্যপদে সাবেক দেশপ্রেমিক সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের নিয়োগ প্রদান করতে প্রস্তাব রাখা হয়।

 

ফুয়াদ

×