ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

তিন দিনব্যাপী আইসিইউআরপি সম্মেলন শুরু

প্রতিপাদ্য ‘টেকসই উন্নয়নের জন্য স্থানিক পরিকল্পনা’

প্রকাশিত: ২০:৩৪, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

প্রতিপাদ্য ‘টেকসই উন্নয়নের জন্য স্থানিক পরিকল্পনা’

আইসিইউআরপি সম্মেলনে সালমান এফ রহমান।

‘টেকসই উন্নয়নের জন্য স্থানিক পরিকল্পনা’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে শুরু হয়েছে ২৩-২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী তৃতীয় আন্তর্জাতিক আরবান অ্যান্ড রিজিওনাল প্ল্যানিং সম্মেলন (আইসিইউআরপি)। শনিবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ প্ল্যানার্স (বিআইপি) আয়োজিত এই সম্মেলন শেষ হবে আগামী সোমবার। 

এবারের আইসিইউআরপি’র লক্ষ্য দেশের বিভিন্ন খাতে নিয়োজিত পরিকল্পনাবিদ, পেশাজীবী, শিক্ষক, গবেষক এবং নগর ও পল্লী উন্নয়নে জড়িতদের একত্রিত করা, যাতে একে অপরের সঙ্গে নানামুখী ধারণা ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করার মাধ্যমে দেশের নগরায়ণ সম্প্রসাণে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। এছাড়া বিআইপির প্রেসিডেন্ট পরিকল্পনাবিদ মোহাম্মদ ফজলে রেজা সুমন, উপদেষ্টা পরিষদের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. আকতার মাহমুদ ও বিশেষ অতিথি জার্মান দূতাবাসের হেড অব ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ফ্লোরিয়ান হলেন উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রতিপাদ্য উপস্থাপন করেন বিআইপির জেনারেল সেক্রেটারি পরিকল্পনাবিদ ও আইসিইউআরপি’ ২০২৩-এর আহ্বায়ক শেখ মুহাম্মদ মেহেদী আহসান।

অনুষ্ঠানে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও শিল্পকারখানা এবং নগরায়ন হচ্ছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অপরিকল্পিতভাবে কৃষিজমি ভরাট করে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সুষ্ঠু ও পরিকল্পিত নগরায়ন অত্যন্ত জরুরি। এখনও দেশের উপজেলা পর্যায়ে কীভাবে নগরায়ন হবে, সে বিষয়ে পরিকল্পনা হয়নি। দেশের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে এবং ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। এতে দেশের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়েও নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হচ্ছে, যা মোকাবিলায় সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন।

এ প্রসঙ্গে নিজের তরুণ বয়সে দেখা রাজধানীর চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি তরুণ বয়সে যখন বোতলের পানি কিনে খাওয়ার কথা বলতাম, তখন মানুষ অবাক হতো আর মানুষ হাসত। অথচ এখন জেলা-উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়েও যেকোনো অনুষ্ঠানে বোতলজাত পানি থাকাটা স্বাভাবিক হয়ে গেছে। এর ফলে প্রচুর বর্জ্য তৈরি হচ্ছে। এই সমস্যাগুলোর ব্যাপারে সুষ্ঠু পরিকল্পনার প্রয়োজন। এ পর্যায়ে সঠিকভাবে নগরায়নকে বিস্তৃতকরণে বিআইপির ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।’

ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান বা ড্যাপ নামে অভিহিত রাজধানীর নগর উন্নয়ন পরিকল্পনার বিষয়ে তিনি বলেন, এখানে স্বার্থসংশ্লিষ্ট নানা পক্ষ রয়েছে। তারা সবাই নিজেদের স্বার্থরক্ষা করতে চায়। তারপরও সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রস্তাব আমলে নিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য ড্যাপ প্রণয়ন করা হয়েছে। ৩’য় আইসিইউআরপি সম্মেলেনে বিআইপির অংশীদার বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং দেশী-বিদেশী উন্নয়ন অংশীদার। 

×