ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২

ছাত্রীকে বিয়ে করা মুশতাকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

প্রকাশিত: ১১:১০, ১০ আগস্ট ২০২৩; আপডেট: ১৪:৪৪, ১০ আগস্ট ২০২৩

ছাত্রীকে বিয়ে করা মুশতাকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

খন্দকার মুশতাক আহমেদ।

রাজধানীর মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে প্রলোভন ও জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে ধর্ষণ মামলা করা হয়েছে। 

কলেজ ছাত্রীর বাবা মো. সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন বলে বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) আইনজীবী ওমর ফারুক জানান। মামলায় আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকেও আসামি করা হয়েছে। 

আরও পড়ুন :কুষ্টিয়ায় সাড়ে ৪ লাখ নকল আকিজ বিড়ি জব্দ

আইনজীবী ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে বলেন, গত ১ আগস্ট ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীনের আদালতে এ মামলার আবেদন করা হয়। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণের আদেশ দিয়েছেন। 

মামলায় বলা হয়েছে, তার মেয়ে মতিঝিল আইডিয়ালের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। আসামি মুশতাক বিভিন্ন অজুহাতে কলেজে আসতেন এবং ওই ছাত্রীকে ক্লাস থেকে অধ্যক্ষের কক্ষে ডেকে আনতেন। খোঁজ-খবর নেওয়ার নামে আসামি তাকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে প্রলুব্ধ করতেন। কিছুদিন পর আসামি মুশতাক ওই ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হওয়ায় ভুক্তভোগীকে তুলে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে করেন। পরে ভুক্তভোগী ও তার পরিবারকে ঢাকা ছাড়া করবে বলে হুমকি দেন। মুশতাকের এ ধরনের আচরণে আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষকে (২ নম্বর আসামি) ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন ভুক্তভোগী। তবে তিনি ব্যবস্থা করছি বলে আসামি মুশতাককে তার রুমে নিয়ে আসেন। সে সময় ভুক্তভোগীকেও ক্লাস থেকে নিয়ে এসে রুমের দরজা বন্ধ করে দিয়ে মুশতাককে সময় ও সঙ্গ দিতে বলেন। 

২ নম্বর আসামি মুশতাককে অনৈতিক কাজে সাহায্য করে আসতে থাকেন। বাদী উপায় না পেয়ে গত ১২ জুন তার মেয়েকে ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়িতে নিয়ে যান। পরে আসামি মুশতাক তার লোকজন দিয়ে তার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যান। এরপর বাদী জানতে পারেন মুশতাক ভুক্তভোগীকে একেক দিন একেক স্থানে রেখে অনৈতিক কাজে বাধ্য করেছেন এবং যৌন নিপীড়ন করেছেন।

এম হাসান

×