
ছবি: জনকণ্ঠ
নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার উত্তর দুরাকুটি এলাকার বৈকালিক সৃষ্টি কোচিং সেন্টারের শিক্ষক আজহারুল ইসলাম আজাদ ওরফে বাবুল মাস্টার (৪৫) এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করেন।
এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হলে অভিযুক্ত শিক্ষক পালিয়ে যান। তবে র্যাবের অভিযানে তিনি গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে নীলফামারী জেলা কারাগারে বন্দী আছেন। বিষয়টি গত ৬ মে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে—including জনকণ্ঠে—প্রকাশিত হয়।
এ ঘটনার পর সচেতন মহল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উক্ত কোচিং সেন্টার বন্ধের দাবি তোলে, যা উপজেলায় ব্যাপক সাড়া ফেলে।
তবে অভিযোগ উঠেছে, ঘটনার গুরুত্ব ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে সৃষ্টি কোচিং সেন্টারের কিছু শিক্ষক শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে উপজেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে। সোমবার (১২ মে) দুপুরে শিক্ষার্থীদের নিয়ে তারা 'কিশোর গ্যাংয়ের বিচার চাই' স্লোগানে বিক্ষোভ মিছিল করে এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করে।
এ সময় শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা জানান, “আমরা কিছু জানি না। শিক্ষকরা ব্যানার ধরিয়ে আমাদের দিয়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করিয়েছেন। আমরা শুধু তাদের কথা মেনে করেছি।” উল্লেখযোগ্য যে, শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে কোনো শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন না।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি সাংবাদিকদের জানান, কোচিং সেন্টারের মালিকের একটি নারী সংক্রান্ত ভিডিও সম্প্রতি ফাঁস হয়। এর আগে গত ১৯ এপ্রিল এক শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন শিক্ষক আজহারুল ইসলাম বাবুল। ঘটনাটি জানাজানি হলে মেয়েটির বাবা থানায় মামলা দায়ের করেন। ৬ মে র্যাব-১৩-এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নীলফামারী সদরের চরাইখোলা এলাকা থেকে বাবুল মাস্টারকে গ্রেপ্তার করে কিশোরীগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
উল্লেখ্য, অভিযুক্ত শিক্ষকের বাড়ি মাগুরা ইউনিয়নের সিঙ্গেরগাড়ী গ্রামে। তিনি বৈকালিক সৃষ্টি কোচিং সেন্টারে নিয়মিত ক্লাস করাতেন। গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই কোচিং সেন্টার বন্ধের দাবি তোলেন।
এ বিষয়ে কিশোরীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আশরাফুল ইসলাম বলেন, “কিশোরীগঞ্জে কিশোর গ্যাংয়ের কোনো অস্তিত্ব নেই। একটি মহল উপজেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে বিক্ষোভ করিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
শহীদ