ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২

রায়ের বাজারে কবরস্থানে ৩০টি কবর আগে থেকেই খুঁড়ে রাখা হচ্ছে

প্রকাশিত: ১৯:২৯, ১৯ এপ্রিল ২০২১

রায়ের বাজারে কবরস্থানে ৩০টি কবর আগে থেকেই খুঁড়ে রাখা হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের সবচেয়ে বড় কবরস্থান রাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থান। এখানে প্রতিদিন অন্তত ৩০টি কবর আগে থেকেই খুঁড়ে রাখা হয়। চলতি মাসে ১৯দিনে করোনায় মৃত ১২৭ জনের দাফন হয়েছে এখানে। এ পর্যন্ত ১১ শ’রও বেশি করোনা রোগে মৃতের দাফন করা হয়েছে। বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের পেছনে রায়েরবাজার করবস্থানটি নির্মাণ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। ডিএনসিসির সূত্র জানায়, দেশের বৃহৎ কবরস্থানটির আয়তন প্রায় ৯৬ একর। মূল কবরস্থান ৮১ দশমিক ৩০ একরের। এখানে সাড়ে ৮৫ হাজার লোকের কবর দেয়ার জায়গা রয়েছে। কবর দিতে মৃতের স্বজনদের কোনও ফি দিতে হয় না। শুধু কবর খোঁড়ার খরচ ও গোরখোদকদের বকশিশ দিলেই হয়। উত্তর সিটি করপোরেশন এবং কবরস্থান সূত্রে জানা গেছে, এই কবরস্থানে ৮ নম্বর ব্লকটি কেবল করোনায় মৃত ব্যক্তিদের দাফন করা হচ্ছে। এপ্রিলে করোনায় মৃত্যুর পরিসংখ্যান হঠাৎ বদলে প্রতিনিয়ত লাশের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এই মাসে করোনায় মৃত ১২৭ জনের দাফন করা হয়েছে। এ পর্যন্ত করোনায় রোগে মৃতের ১১ শ’রও বেশী দাফন হয়েছেন । গোরখোদকরা জানান, ৮ নম্বর ব্লকে অন্তত ৩০টি কবর আগে থেকেই খুঁড়ে রাখা হয়েছে। মেশিন দিয়ে এই কবরগুলো খোঁড়া হয়। তারা জানান, সচরাচর রাত ১১টা পর্যন্ত কাজ করেন তারা। এপ্রিলে করোনা মৃতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এখন আগের চেয়ে ব্যস্ত সময় কাটতে হচ্ছে তাদের। এই কবরস্থানে যে ২৮ জন গোরখোদক রয়েছেন। প্রতিদিন দুই শিফটে দায়িত্ব পালন করতে হয় তাদের। একদল কাজ করেন সকাল ৬টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত। আরেক দল বেলা ২টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত। তবে লাশ এলে মধ্যরাতেও দাফনের কাজ চলে। এমনিতে ১২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত বন্ধ থাকে কবরস্থান। রায়েরবাজার কবরস্থানের সিনিয়র মোহরার আবদুল আজিজ জানান, এপ্রিলে বেশী করোনায় মৃত লাশ দাফন করা হচ্ছে বেশী। যার কারণে ৮ নম্বর ব্লকের কিছু কবর আগেই খুঁড়ে রাখা হয়েছে। কয়েকদিন আগে দিনে প্রতিদিনই ৮-১০টি কওে করোনা মৃতের লাশ দাফন করা হয়েছিল। গত দুই দিন হলো কিছুটা কম আসছে। তবে এই মাসে অন্যান্য মাসের তুলনায় বেশি এসেছে।
×