ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৮ মে ২০২৫, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

রহস্য উপত্যকা

প্রকাশিত: ২২:৪৪, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১

রহস্য উপত্যকা

রাশিয়ার কামচাটকা উপদ্বীপের কিখপিনাইচি এলাকা বরফে মোড়ানো এক ছোট্ট আগ্নেয়গিরির উপত্যকা। সেখানেই লুকিয়ে আছে হাজারো রহস্য। রহস্য ও জীববৈচিত্র্য একে অপরের সঙ্গে পাল্লা দেয়। হিমশীতল ওই উপত্যকার পরতে পরতে যত রহস্য, তার কূলকিনারা করতে পারেনি কেউ। এক দশমিক দুই কিলোমিটার দীর্ঘ ওই এলাকায় জীবজন্তু প্রবেশ করে। তবে আর বাইরে বের হতে পারে না। গ্রীষ্মকালে যখন বরফ গলতে শুরু করে তখন উপত্যকায় খরগোশ ও পাখিসহ বিভিন্ন জীবজন্তু প্রবেশ করে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই ততক্ষণাৎ মারা যায়। মৃত পশুদের খাওয়ার লোভে সেখানে প্রবেশ করে নেকড়ের মতো শিকারি পশুরাও। শিয়াল, ঈগল থেকে শুরু করে ভালুকের মতো বড় প্রাণীও সেখানে প্রবেশ করে। তবে কেউ আর ফিরে আসে না। কিভাবে পশুপাখির মৃত্যু হয় সেটিই বড় রহস্য। প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় প্রাণীগুলোর নিথর দেহ দিনের পর দিন অবিকৃত অবস্থায় পড়ে থাকে। তাদের দেহে অসুখ বা আঘাতের চিহ্ন দেখা যায় না। তাহলে তাদের মৃত্যুর জন্য কে দায়ী? রাশিয়ার ইনস্টিটিউট অব ভলক্যানোলজি এ্যান্ড সিসমোলজির আগ্নেয়গিরি বিশেষজ্ঞ ভ্লাদিমির লিয়োনোভের ধারণা, প্রাণীগুলোর মৃত্যু রহস্যের কারণ হলো আগ্নেয়গিরি। এই ধারণা তিনি প্রচার করেছিলেন ১৯৭৫ সালে। সে বছরই তিনি উপত্যকাটির সন্ধান পেয়েছিলেন। জনশ্রুতি আছে, উপত্যকা থেকে মৃত জীবজন্তুর দেহ নিয়মিতভাবে সরিয়ে নেয়া হয়। কে করে সেই কাজ? সে তথ্য আজও অন্ধকারে। সাতের দশকের মাঝামাঝি লিয়োনোভের ছাত্র এবং গবেষণায় সহকারী ভিক্টর দেরিয়াজিন দাবি করেন, রুশ সেনাবাহিনী উপত্যকার অস্তিত্ব জানতে পেরেই সক্রিয় হয়ে ওঠে। হেলিকপ্টার পাঠিয়ে উপত্যকা থেকে বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। -রাশিয়া টাইমস

আরো পড়ুন  

×