সংসদ রিপোর্টার ॥ সাংবাদিকদের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। যখনই সময় পান তখনই সাংবাদিকদের সঙ্গে খোশগল্পে মেতে ওঠেন। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে সময় কাটাতে হঠাৎ করেই সংসদে সাংবাদিক লাউঞ্জে ঢুঁ মারলেন রাষ্ট্রপতি। বাজেট অধিবেশন চলাকালে বেলা দুইটার দিকে লাউঞ্জে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে স্বভাবসুলভ হাস্যরসে মেতে ওঠেন তিনি।
সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রাণখোলা আলাপচারিতায় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সম্প্রতি হাওড় অঞ্চলে অকাল বন্যা ও ঢলে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির বিষয়টি তুলে ধরেন। বলেন, নিজের ৭৪ বয়সের মধ্যে এবারই এতো আগাম বন্যা দেখলাম। হাওড়ের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের বর্ণনা তুলে ধরে তিনি বলেন, নদী উপচে পড়লে তো আর বাঁধ দিয়ে লাভ হবে না। এজন্য একেবারে বর্ডারে রক্ষা করতে না পারলে এই বিপদ থেকে আমরা রক্ষা পাব না। এটা আমার অবজারভেশন (পর্যবেক্ষণ)।
কুশলাদি বিনিময় করার সময় একজন সাংবাদিক তার জীবনী লেখার কথা জানতে চাইলে রাষ্ট্রপতি বলেন, আমি শুরু করেছি, মরার আগে শেষ করতে পারব কিনা দেখি। এ সময় তিনি স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে সাংবাদিকদের কুশল জানতে চান। সাংবাদিকরাও রাষ্ট্রপতিকে কাছে পেয়ে তার শরীরের খোঁজ খবর নেন। হাস্যরস করে তিনি বলেন, বয়স ৭৪ হলেও শরীরে জোর কিন্তু কম নেই। বঙ্গভবনের পরিবর্তে মুক্ত অবস্থায় থাকলে শরীর আরও ভাল থাকত।
নিরাপত্তার ঘেরাটোপ পেরিয়ে রাষ্ট্রপতি সাংবাদিকদের কাছে আসেন, কিছু সময় অবস্থান করে খোঁজখবর নেন সবার। রাষ্ট্রপতি পার্লামেন্ট জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশনেরও খোঁজ খবর নেন। লাউঞ্জে সাংবাদিকদের কাজে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ঠিকমতো আছে কিনা সে বিষয়েও খোঁজ নেন। রাষ্ট্রপতিকে সাংবাদিক লাউঞ্জে স্বাগত জানান পার্লামেন্ট জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জনকণ্ঠের বিশেষ প্রতিনিধি উত্তম চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক কামরান রেজা চৌধুরীসহ কমিটির অন্যান্য সদস্য।
সংসদের অধিবেশনে এ নিয়ে ৬ষ্ঠ বারের মতো রাষ্ট্রপতি সাংবাদিকদের লাউঞ্জে এসে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। স্পীকারের দায়িত্বে থাকার সময়ও আবদুল হামিদ প্রায়ই সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করতেন। প্রায় ২২ মিনিট সাংবাদিক লাউঞ্জে অবস্থান শেষে পুনরায় বাজেট অধিবেশন প্রত্যক্ষ করতে নিজ কার্যালয়ে যান। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: