
ছবি: সংগৃহীত
গুগল জানিয়েছে, ৬১ শতাংশের বেশি জিমেইল ব্যবহারকারী সাইবার হামলার লক্ষ্য হয়েছেন। এর মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি ব্যবহারকারী ব্যক্তিগতভাবে ডেটা চুরির শিকার হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে গুগল বলছে, পুরনো পদ্ধতিতে—যেমন পাসওয়ার্ড ও টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন (২FA)—অ্যাকাউন্ট সুরক্ষা রাখা এখন আর যথেষ্ট নয়।
এখন গুগলের পরামর্শ, পাসওয়ার্ড বাদ দিয়ে পাসকি (Passkey) ব্যবহারে অভ্যস্ত হতে হবে। পাসকি হলো এমন একটি নিরাপদ অথেন্টিকেশন পদ্ধতি, যেখানে ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা ফেস আইডি দিয়েই লগইন করা যায়, পাসওয়ার্ড লাগে না। এটি শুধু জিমেইল নয়, গুগলের সব সেবা ও সেসব অ্যাপে কার্যকর, যেগুলোতে গুগল অ্যাকাউন্ট দিয়ে সাইন-ইন করা হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাসওয়ার্ড এখন সবচেয়ে দুর্বল অংশ, যা সহজেই ফিশিং, ডেটা ব্রিচ বা হ্যাকের শিকার হয়। গুগলের মতে, এখনকার সময়ের অধিকাংশ হ্যাকিং হয় চুরি হওয়া পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে, সরাসরি কোনো সিস্টেম হ্যাক করে নয়।
পাসকি ব্যবহারে এই সমস্যা অনেকাংশে কমে যায়, কারণ এটি ফিশিং প্রতিরোধী, ব্যবহারকারী যেভাবে তার ডিভাইস আনলক করেন—সেই একই উপায়ে লগইন করা যায়। এতে কোনো শেয়ার করা তথ্য বা পাসওয়ার্ড ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে না।
ফিডো অ্যালায়েন্স (FIDO Alliance) জানায়, পাসকি ডিজাইনই করা হয়েছে সাইবার আক্রমণ কমানোর জন্য। এটি সহজ, নিরাপদ এবং বিভিন্ন ডিভাইসে কাজ করে। একবার পাসকি সেট করে নিলে, ব্যবহারকারীর ফোন বা কম্পিউটারই তার ডিজিটাল চাবি হয়ে দাঁড়ায়।
মাইক্রোসফট আরও এক ধাপ এগিয়ে ব্যবহারকারীদের পাসওয়ার্ড মুছে ফেলার আহ্বান জানিয়েছে। তাদের তথ্যমতে, তারা প্রতি সেকেন্ডে ৭,০০০ পাসওয়ার্ড হামলা ঠেকাচ্ছে, আর বছরে ১৪৬% হারে বাড়ছে ফিশিং অ্যাটাক।
সতর্কবার্তা স্পষ্ট—এখনই সময় নিরাপদ হতে। পাসওয়ার্ডের ওপর নির্ভরতা কমান, এসএমএসভিত্তিক ২FA বাদ দিয়ে পাসকি বা অথেন্টিকেটর অ্যাপ ব্যবহার শুরু করুন।
গুগল বলছে, “আপনার যদি স্মার্টফোন বা ইমেইল অ্যাকাউন্ট থাকে, তাহলে আপনি অবশ্যই লক্ষ্য করেছেন, ইদানীং প্রতারণামূলক বার্তা ও স্ক্যাম বেড়েছে। আপনি একা নন, এটাই বাস্তবতা।”
অতএব, এখনই সময় অ্যাকাউন্ট সুরক্ষার আপডেট নেওয়ার। পাসওয়ার্ড নয়, পাসকি হোক আপনার ডিজিটাল নিরাপত্তার নতুন চাবিকাঠি।
সূত্র: ফোর্বস
আবির