
ছবি- দৈনিক জনকণ্ঠ
প্লাবিত আকাশে আগুনের ঝলকানিতে তাঁর পদযুগল বেজেছে সরণি,
ধ্বনিত হয়েছে বিদ্রোহের বীণা, বাজছে তুফান, বাজছে হিয়া,
তলোয়ার-তন্ত্রী বন্দী করে রেখেছে নীরব নীরবত্বের তুলোর ভাঁজে,
অস্ত্র-অঞ্জলি সুরে দোলা দিচ্ছে মুক্তির ঈদগাহ, ফাঁদ-বিহীন আশা।
নিশ্বাসে ঘোলা দহন, বাতাসে দোলা দেহের দানবী আকাঙ্খা,
ধূলিপথে ধ্বংশের ছায়া, গান গায়ে আলোকিত সুরের সংঘর্ষ,
তাঁর বাঁশিতে লুপ্তকালের আহ্বান, তলোয়ারে জেগে ওঠে অনন্ত চেতনা,
শহিদ হৃদয়ের ছিঁড়ে দেয় আঁধারে বেঁধে রাখা অলীক শৃঙ্খল।
আগ্নেয়গিরির গর্জনে মুছে যায় বিভীষিকাবিহ্বল মন,
পেট্রোলচিহ্নিত ইতিহাসে জাগে সমরাঙ্গণের মুক্তি সংকল্প,
ফানুসের আলোয় বিকশিত হয় প্রাচীন দেবের গীতিময় প্রতিবাদ,
নব-ঋতুর আভানে রক্ত-ফুল ফুটে ওঠে বিজয়ের রাগে।
তলোয়ার বনাম সুর, জ্বলন্ত শিলা বনাম নির্মল বায়ু,
ব্যোমকুন্ডলিনী জাগ্রত, বিকশিত দিগন্তে স্বৈরাধিপতির ধ্বংস,
তাঁর চরণতলে লালিমা, মুক্তির ফেরিওয়ালা ডাকে,
অগ্নিস্নাত, বজ্রস্নাত, পরশুরাম নতুন জীবনে পুনরুজ্জীবিত!
বজ্রপাতের মতো করুণ সুরে জাগে নবযুগ, বিপ্লবের বজ্রবাণ বাঁধলো শূন্যতা!
নোভা