
.
আমরা প্রত্যেক অভিবাবকই উদ্বিগ্ন থাকি কোন মতে যেন টিনএজ বয়সটা ভালভাবে পার করা যায়। আসলে উদ্বিগ্ন হওয়ার কি কোন কারণ আছে তা নিচের আলোচনা থেকে বুঝতে সক্ষম হব।
কি কি পরিবর্তন এই সময়ের:
১. হঠাৎ করে শরীরের গঠনের পরিবর্তন
২. হরমনের কারণে পরিবর্তন
৩. আবেগের পরিবর্তন
৪. চাওয়া পাওয়ার পরিবর্তন
এই বয়সে মৃত্যুর অন্যতম কারণ হলো- ছেলেরা ৫ গুণ বেশি আত্মহত্যা করে কিন্তু মেয়েরা বেশি চেষ্টা করে। বিগত ২ দশকে আত্মহত্যা বেড়ে গেছে অনেক গুণ। সাইকোলজিস্টদের ব্যখ্যা মতে পড়াশুনার সামাজিক চাপ, মদ্যপান , নেশা করা ও পারিবারিক অশান্তি আগের তুলনায় অনেক গুণ বেড়ে গেছে । এইগুলোই এর পিছনের মূল কারণ।
১. Adolescence egocentrism তৈরি হয়। নিজের মতো করে পৃথিরীকে দেখতে চায়, ব্যাখ্যা করতে চায়, নিজেকে মনে করে অথোরিটি ফিগার। অন্যের সমালেচনা গ্রহণ করতে চায়না, অন্যের ভুল ধরতে চায়, তাদের মধ্যে ভাবনা আসে সবাই যেন তাদের দিকে মনোযোগ দেবে, তারা হলো সেন্টার অব এ্যটেনশন
২. ভেতরে একধরনের সামুদ্রিক ঝড়ের মতো হয় যা তাদের নিজকে উপস্থাপন করার প্রতিযোগিতায় ছেড়ে দেয় অজানাকে জানার আগ্রহ আর কৌতূহলে। এই কৌতূহলই এর আকর্ষণের মূল কারণ। এই কৌতূহলের কারণে অনেকে নেশায় আসক্ত হতে পারে, দেখি না একটু খেয়ে কেমন লাগে, এই কৌতূহলের কারণে নেশায় আসক্ত হয়ে যায় এবং বিপদগামী হতে থাকে।
৩. Rebellium Balenc করা
৪. মোটরকার চালানো, অস্বাভাবিকভাবে যত্রতত্র উচ্চ গতিতে গাড়ি চালানো।
৫. হিতাহিত জ্ঞান থাকে না কি করছে, কি পরিণতি।
৬. অনেক ছেলেমেয়েরা প্রেমে পড়ে যায় ।
৭. বাবার সঙ্গে কনফ্লিক্টের কারণে হঠাৎ আচান ব্যবহারের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। এতে করে অনেকে জেদ করে স্কুলে যাওয়াই বন্ধ করে দেয় । তারপর লেখাপড়াই বন্ধ হয়ে যায় । আবার একগ্রুপ দেখা যায় খুব অশোভনীয় আবরণ করতে দ্বিধা করে না।
৮. মানিয়ে নিতে পারে না।
কখন বাবা-মা বেশি চিন্তিত হবেন:
১. সন্তান যদি বেশ কিছুদিন স্কুলে অনুপস্থিত থাকে, পরীক্ষার আগে স্কুল থেকে পালায়। রেজাল্ট খারাপ হওয়া।
২. বন্ধু বান্ধব, আত্মিয়স্বজন, বাবা-মা সবার কাছ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেয়া।
৩. এইসব ছেলেমেয়ে খাবার খাচ্ছে না। অথবা বেশি বেশি খাবার খাচ্ছে।
৪. বারবার দুর্ঘটনায় পড়ছে, খারাপ আচরণ করছে। যেমন- নিজের ভুলের কারণে বারবার দুর্ঘটনায় পতিত হয়।
৫. তখন বাবা-মাকে অবশ্যই ভাবতে হবে কি?
কেন কিশোর-কিশোরীরা আত্মহত্যা করতে পারে:
আত্মহত্যার জীবনের এমন একটি ঘটনা যা একটি চেষ্টা/একটি প্লান/ একটি আবেগই যথেষ্ট জীবন শেষ করার জন্য। অতএব, কোন সময় যদি দেখেন যে আপনার সন্তান খুবই টেনশনে ভোগেন সামাজিক ও একাডেমিক মোকাবেলায়।
লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, যোগাযোগ: ৯৫৬১৭৮৬