
ছবি: সংগৃহীত
শিশুর মানসিক বিকাশ ও বুদ্ধিমত্তা গঠনে পরিবারের, বিশেষ করে মা-বাবার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জন্মের পর থেকেই শিশুর শেখার প্রক্রিয়া শুরু হয়, আর এই সময়ে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক, সঠিক পরিচর্যা ও অনুপ্রেরণাদায়ক পরিবেশ তাকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করে। শিশুর বুদ্ধিমত্তা বাড়াতে মা-বাবা কিছু সহজ কিন্তু কার্যকর অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। জেনে নিন সেই ৭টি অভ্যাস—
১. নিয়মিত গল্প বলা বা বই পড়া:
শিশুকে ছোটবেলা থেকেই বইয়ের সঙ্গে পরিচিত করা তার ভাষা শেখার দক্ষতা, কল্পনাশক্তি ও মনোযোগ বৃদ্ধিতে সহায়ক। মা-বাবা যদি প্রতিদিন কিছু সময় গল্প পড়ে শোনান, তবে তা শিশুর চিন্তা করার ক্ষমতা বাড়াতে দারুণ ভূমিকা রাখে।
২. প্রশ্নের উত্তর ধৈর্য সহকারে দেওয়া:
শিশুরা নানা প্রশ্ন করে। কখনো কখনো সেগুলো বিরক্তিকর মনে হলেও, এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেয়া তাদের কৌতূহল ও বিশ্লেষণী শক্তি বাড়াতে সহায়ক হয়।
৩. খেলার মাধ্যমে শেখানো:
শিশুরা খেলতে খেলতেই সবচেয়ে ভালো শেখে। রঙিন খেলনা, পাজল, ব্লক কিংবা শিক্ষামূলক গেম তাদের যুক্তি প্রয়োগ, সমস্যা সমাধানের দক্ষতা ও সৃজনশীলতা বাড়ায়।
৪. প্রযুক্তির ব্যবহারে সীমাবদ্ধতা:
অতিরিক্ত মোবাইল বা টিভি দেখা শিশুর মনোযোগ ও চিন্তা করার ক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত করে। মা-বাবাকে চাই প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে রেখে বাস্তব জীবনের সঙ্গে শিশুকে যুক্ত রাখতে।
৫. সৃজনশীল কাজে উৎসাহ দেওয়া:
আঁকা, গান, নাচ, হাতের কাজ—এসব সৃজনশীল কাজে শিশুদের অংশ নিতে উৎসাহ দিলে তাদের কল্পনাশক্তি ও আত্মবিশ্বাস বাড়ে।
৬. স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা:
সুস্থ দেহেই বাস করে সুস্থ মন। শিশুর বুদ্ধিমত্তার বিকাশে সুষম ও পুষ্টিকর খাবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
৭. ভালো আচরণ ও মূল্যবোধ শেখানো:
বুদ্ধিমত্তা শুধু বইয়ের জ্ঞানেই সীমাবদ্ধ নয়। শিশুকে সহানুভূতি, শিষ্টাচার ও নৈতিকতা শেখানো তার সামাজিক বুদ্ধিমত্তা বাড়াতে সাহায্য করে।
সন্তান প্রতিভাবান হয়ে উঠুক—এটা প্রত্যেক মা-বাবার স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন পূরণে ছোট ছোট অভ্যাসই হয়ে উঠতে পারে শিশুর ভবিষ্যতের ভিত্তি।
আসিফ