ঈদের ছুটিতে ঘুরে আসুন সাতক্ষীরার ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলোতে

ঈদের ছুটিতে যদি ইতিহাস, সংস্কৃতি ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মেলবন্ধন খুঁজে থাকেন, তাহলে সাতক্ষীরা হতে পারে আপনার আদর্শ গন্তব্য। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত এই জেলা সমৃদ্ধ ঐতিহাসিক নিদর্শন, ধর্মীয় স্থান এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর।

 যশোরেশ্বরী কালী মন্দির, ঈশ্বরীপুর

শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর গ্রামে অবস্থিত যশোরেশ্বরী কালী মন্দির হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান। ১৩শ শতকে নির্মিত এই মন্দিরটি ৫১টি শক্তিপীঠের অন্যতম, যেখানে দেবী সতীর করতল ও পদতল পতিত হয়েছিল বলে বিশ্বাস করা হয়। ২০২১ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই মন্দির পরিদর্শন করেন। 

 তেঁতুলিয়া জামে মসজিদ, তালা

তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামে অবস্থিত তেঁতুলিয়া জামে মসজিদ ১৮৫৯ সালে খান বাহাদুর মৌলভী কাজী সালামতুল্লাহ খানের দ্বারা নির্মিত হয়। মুঘল স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত এই ছয় গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদটি ২০টি মিনার দ্বারা সজ্জিত। 

 ঈশ্বরীপুর হাম্মামখানা

ঈশ্বরীপুরে অবস্থিত এই মুঘল আমলের হাম্মামখানা রাজা প্রতাপাদিত্যের রাজকীয় অতিথিশালার অংশ ছিল। এই স্থাপত্যটি মুঘল যুগের বিলাসবহুল জীবনযাত্রার নিদর্শন বহন করে। 

 ছয়ঘরিয়া জোড়া শিব মন্দির

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামে অবস্থিত এই দুটি শিব মন্দির ১২২০ বঙ্গাব্দে ফকির চাঁদ ঘোষের দ্বারা নির্মিত হয়। পোড়ামাটির অলঙ্করণে সজ্জিত এই মন্দিরগুলি স্থাপত্যিক দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ।

গুনাকরকাটি মাজার

আশাশুনি উপজেলার গুনাকরকাটি গ্রামে অবস্থিত এই মাজারটি একটি ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক স্থান। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা এই স্থানটি দর্শনার্থীদের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ প্রদান করে।

 মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত

শ্যামনগর উপজেলার মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত বঙ্গোপসাগরের তীরে অবস্থিত একটি বালুকাময় সৈকত। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই সৈকতটি পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় গন্তব্য।

মোজাফফর গার্ডেন ও রিসোর্ট

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার খড়িবিলা গ্রামে অবস্থিত এই রিসোর্টটি ৪০ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। এখানে চিড়িয়াখানা, বোটানিক্যাল গার্ডেন ও খেলার মাঠসহ বিভিন্ন বিনোদনমূলক সুবিধা রয়েছে।

ঈদের ছুটিতে সাতক্ষীরার এই ঐতিহাসিক ও প্রাকৃতিক স্থানগুলি ভ্রমণ করে আপনি ইতিহাস, সংস্কৃতি ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অনন্য অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারেন। পরিবার ও বন্ধুদের নিয়ে এই ভ্রমণ আপনার ঈদ উদযাপনকে আরও স্মরণীয় করে তুলবে।