
ছবি: সংগৃহীত।
গাজার ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎস। এক টেলিফোন আলাপে তিনি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে গাজার “অনাহারী” বেসামরিক নাগরিকদের জন্য জরুরি মানবিক সহায়তা দ্রুত পৌঁছানোর ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানিয়েছেন।
জার্মান সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, চ্যান্সেলর মের্ৎস নেতানিয়াহুকে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে তার সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগের অনুরোধ জানান। একইসঙ্গে তিনি গাজার দুর্দশাগ্রস্ত জনগণের জন্য জরুরি খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছানোর উপর জোর দেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “এই সহায়তা দ্রুত, নিরাপদ এবং প্রয়োজনীয় পরিমাণে গাজায় পৌঁছানো জরুরি।”
মের্ৎস, যিনি জার্মানির মধ্য-ডানপন্থী সিডিইউ (CDU) দলের নেতা, সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েলের নীতির প্রতি বেশ সমালোচনামুখর হয়ে উঠেছেন। তবে স্থানীয় সময় সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সসহ ২৮টি পশ্চিমা দেশের যৌথ বিবৃতিতে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান বন্ধের আহ্বান জানানো হলেও জার্মানি সেই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেনি।
উল্লেখ্য, ইসরায়েলের প্রতি জার্মানির সমর্থন ঐতিহাসিকভাবেই দৃঢ়। নাৎসি হলোকাস্টের ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে দেশটি ইসরায়েলের নিরাপত্তাকে তাদের রাষ্ট্রীয় নীতির অংশ (Staatsräson) হিসেবে বিবেচনা করে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রায় ১,২০০ মানুষ নিহত ও ২৫১ জন জিম্মি হওয়ার পর থেকে জার্মানি ইসরায়েলের অন্যতম ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পাশে থেকেছে। যুক্তরাষ্ট্রের পর ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে জার্মানি।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।
মিরাজ খান