ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২

ইরানের ইউরেনিয়াম মজুদের খোঁজ নেই, ‘মাটির নিচে চাপা’ থাকতে পারে বলছেন ভ্যান্স

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:১৯, ২৪ জুন ২০২৫; আপডেট: ১০:২২, ২৪ জুন ২০২৫

ইরানের ইউরেনিয়াম মজুদের খোঁজ নেই, ‘মাটির নিচে চাপা’ থাকতে পারে বলছেন ভ্যান্স

ছবিঃ সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানের তিনটি প্রধান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রে ক্ষতি হওয়ার পর দেশটির ৬০ শতাংশ মাত্রায় সমৃদ্ধ প্রায় ৪০০ কেজি ইউরেনিয়ামের অস্তিত্ব ঘিরে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স ফক্স নিউজকে জানান, “আমাদের উদ্দেশ্য ছিল ইউরেনিয়ামকে মাটিচাপা দেওয়া এবং আমি মনে করি আমরা তা করতে পেরেছি।” তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ইউরেনিয়াম মজুদ ধ্বংসের পাশাপাশি তাদের এটিকে পারমাণবিক অস্ত্রে রূপান্তরের সক্ষমতাও ধ্বংস করতে চেয়েছিল।

এই মুহূর্তে ইরানের যেসব ইউরেনিয়াম রয়েছে, সেগুলো ৬০ শতাংশ মাত্রায় সমৃদ্ধ—যদিও অস্ত্র তৈরির জন্য প্রয়োজন ৯২ শতাংশ মাত্রার শুদ্ধতা। তবু বিশেষজ্ঞরা বিষয়টিকে উদ্বেগজনক মনে করছেন।

তবে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (IAEA) প্রধান রাফায়েল গ্রোসি বলেন, ফোর্ডো সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রে কতটা ক্ষতি হয়েছে, তা এখনো নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয়। এই স্থাপনাটি গভীরভাবে ভূগর্ভস্থ হওয়ায় পরিদর্শন কঠিন হয়ে পড়েছে।

উন্মুক্ত স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে ফোর্ডোর বাইরে প্রায় এক ডজন ট্রাক অবস্থান করছিল। নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দুজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মার্কিন হামলার আগেই ইরান উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ইউরেনিয়াম ও যন্ত্রপাতি সরিয়ে নিয়েছিল। ইরান হামলার পর জানায়, ঐসব স্থাপনায় এমন কোনো উপাদান ছিল না যা রেডিয়েশন সৃষ্টি করতে পারে।

এনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভ্যান্স বলেন, “আমরা ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ করছি না… আমরা যুদ্ধ করছি ইরানের পরমাণু কর্মসূচির বিরুদ্ধে।”

তিনি এই হামলায় ইরানের পরমাণু কেন্দ্র পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করেননি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে প্রাপ্ত ‘সংবেদনশীল গোয়েন্দা তথ্য’ প্রকাশ করতে চান না বলেও জানান তিনি। তবে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এই হামলা ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির প্রচেষ্টাকে “গুরুত্বপূর্ণভাবে বিলম্বিত” করেছে, এবং সেটাই ছিল মূল লক্ষ্য।

মুমু

×