
ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের যৌথ হামলা ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্রধর রাষ্ট্রে পরিণত করার পথ সুগম করে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক ও কোয়িন্সি ইনস্টিটিউটের নির্বাহী সহসভাপতি ত্রিতা পার্সি।
তিনি আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “এই হামলার আগে ইরানের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র আসন্ন ছিল না, এমনকি সেটির অস্তিত্ব সংকটও ছিল না। এমন কোনো প্রমাণও নেই যে, ইরান শিগগিরই বোমা বানাতে যাচ্ছিল।”
পার্সি আরও বলেন, “বাস্তবতা হচ্ছে—দুইটি পারমাণবিক অস্ত্রধর দেশ একটি নিরস্ত্র রাষ্ট্রের উপর আগ্রাসন চালিয়েছে, অথচ সেই রাষ্ট্র তাদের প্রথমে আক্রমণ করেনি। ইসরায়েলই যুদ্ধ শুরু করেছে, ইরান নয়। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রকেও ইরান প্রথমে আঘাত করেনি, তবুও তারা আক্রমণ করেছে।”
তিনি সতর্ক করেন, এই ধরনের আচরণ বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে ভয়াবহ বার্তা ছড়িয়ে দেবে। যারা ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েলের টার্গেটে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে, তারা ভাববে—নিরাপদ থাকতে হলে পারমাণবিক অস্ত্রই একমাত্র ভরসা।
তার মতে, “আমি আশঙ্কা করছি, এই ঘটনাগুলোর কারণে বিশ্বে পরমাণু অস্ত্র বিস্তার (proliferation) বাড়বে। এবং এতে ইরানের মতো দেশগুলোর জন্য পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের পথ প্রশস্ত হবে।”
সবশেষে তিনি বলেন, “আমার মনে হয়, এই হামলা এক অর্থে নিশ্চিত করেছে যে আগামী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে ইরান একটি পারমাণবিক অস্ত্রধর রাষ্ট্রে পরিণত হবে।”
মুমু ২