
ছবি: সংগৃহীত
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হামলাকে ‘ইতিহাস পরিবর্তনকারী সিদ্ধান্ত’ বলে অভিহিত করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এই হামলার জন্য তিনি প্রকাশ্যে ধন্যবাদ জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে।
রবিবার এক ভিডিও বার্তায় নেতানিয়াহু বলেন, ‘শক্তি আসে আগে, তারপর আসে শান্তি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাহসী সিদ্ধান্ত ইতিহাসে লেখা থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যায়সঙ্গত ও দুর্ধর্ষ আঘাত ইতিহাস পাল্টে দেবে। ইতিহাসে লেখা থাকবে—বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক শাসকগোষ্ঠীকে সবচেয়ে বিপজ্জনক অস্ত্র থেকে বঞ্চিত করতে ট্রাম্পই পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।’
হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর মধ্যে টেলিফোনে কথা হয় বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি চ্যানেল ১৪।
এক ঘোষণায় ট্রাম্প জানান, ‘আমরা ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনার ওপর সফলভাবে আঘাত হেনেছি। এর মধ্যে রয়েছে—ফোর্দো, নাতাৎজ ও ইসফাহান।’
মার্কিন গণমাধ্যম ফক্স নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফোর্দো পারমাণবিক স্থাপনায় B-2 স্টিলথ বোমারু বিমানের মাধ্যমে ছয়টি ‘বাংকার বাষ্টার বোমা’ ফেলা হয়। পাশাপাশি, নাতাৎজ ও ইসফাহান কেন্দ্রগুলোতে নিক্ষেপ করা হয় ডজনখানেক ক্রুজ মিসাইল, যার মধ্যে ছিল ৩০টি টমাহক মিসাইল।
এই হামলার বিস্তারিত তথ্য টেলিভিশন উপস্থাপক শন হ্যানিটিকে জানান ট্রাম্প নিজেই।
ইরানজুড়ে সামরিক অভিযানের পর ইসরায়েল তাদের দেশের নিরাপত্তা সতর্কতা সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত করেছে। এর পাশাপাশি ঘোষণা করা হয়েছে—সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ, জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা এবং অপ্রয়োজনীয় কাজকর্ম স্থগিত।
বিশ্লেষকদের মতে, এই পদক্ষেপগুলো ইরান থেকে সম্ভাব্য পাল্টা হামলার আশঙ্কাকে সামনে রেখেই নেওয়া হয়েছে।
সূত্র: আনদোলু।
রাকিব