ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে ইরানের ওপর সাম্প্রতিক হামলার ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে যুদ্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরান কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে তা এখনো নিশ্চিত নয়, তবে যুদ্ধ দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে পুরো অঞ্চলে।
ইরান শুধু নিজ দেশ থেকেই নয়, উপসাগরীয় অঞ্চলের মার্কিন ঘাঁটি ও স্বার্থের ওপরও আঘাত হানতে পারে। ইরাকের তেহরান-ঘনিষ্ঠ গোষ্ঠীগুলোও এই সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে। যা দেশটিতে সদ্য অর্জিত স্থিতিশীলতাকে আবার বিপর্যস্ত করে তুলবে।
ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীরা আগেই ঘোষণা দিয়েছে, ইরানের ওপর হামলা হলে তারা যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজ টার্গেট করবে। কয়েক মাসের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির পর আবার সংঘর্ষ শুরু হওয়ার শঙ্কা জোরালো হয়েছে।
লেবাননের হিজবুল্লাহ এখনো সরাসরি কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, তবে তারা সম্প্রতি হুঁশিয়ার করেছে যে, প্রয়োজন মনে করলে তারা ইরানের পক্ষে প্রতিক্রিয়া জানাবে। এতে ইসরায়েলের সঙ্গে আবারও ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে—যা গত বছর লেবাননের বিস্তীর্ণ অঞ্চল ও ইসরায়েলের উত্তরের বহু মানুষকে গৃহহীন করেছিল।
এছাড়া ইরান যদি হরমুজ প্রণালী বন্ধ করতে সক্ষম হয়—যার মধ্য দিয়ে বিশ্বের ২০ শতাংশ জ্বালানি তেল পরিবাহিত হয়—তবে তা বৈশ্বিক অর্থনীতি ও উপসাগরীয় দেশগুলোর জন্য বিশাল ধাক্কা হয়ে দাঁড়াবে।
এর মধ্যে ইসরায়েলি হামলায় ইতিমধ্যে শত শত ইরানি নাগরিক নিহত হয়েছে। মার্কিন সম্পৃক্ততা বাড়লে আরও প্রাণহানির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
মুমু ২
