
ছবি: সংগৃহীত
‘তিন জোটের রূপরেখা বাস্তবায়িত হলে হয়তো ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের প্রয়োজনই পড়ত না। কিন্তু বাস্তবে আমরা দেখেছি—যারাই ক্ষমতায় যায়, তারা কেউই কথা রাখে না।’
সম্প্রতি এক বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দৈনিক সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সাঈদ খান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন ঘিরে যে রাজনৈতিক সমঝোতার আলোচনা চলছে, তার ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে বাস্তব সংস্কার ও অঙ্গীকারের উপর। তবে অতীত অভিজ্ঞতা বলছে, শুধু জাতীয় সনদ বা ঘোষণাপত্র করলেই কিছু হয় না—তার বাস্তবায়নের রাজনৈতিক সদিচ্ছাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।
আবু সাঈদ খান বলেন, ‘জুলাই সনদ করা যেতেই পারে। কিন্তু প্রশ্ন হলো—এই সনদ কী হবে? কেউ বলছে এটি সংবিধানের প্রস্তাবনায় যুক্ত হবে, কেউ বলছে আলাদা ঘোষণাপত্র হবে। এসব বিষয়ে এখনো কোনো স্পষ্টতা নেই। জুলাই সনদ যদি হয়ও, তা যেন অতীতের মতো কেবল কাগুজে অঙ্গীকার না হয়।’
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের তৎপরতা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর ভেতরে যে প্রস্তুতি দেখা যাচ্ছে, তাতে আমি মনে করি ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে।’
তিনি জানান, ঈদের ছুটিতেও অধিকাংশ রাজনৈতিক নেতা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় তৎপর ছিলেন, যা স্বাভাবিক রাজনৈতিক গতি-প্রকৃতিরই প্রতিফলন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে, একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে। সেই মূলনীতি ও আদর্শ থেকে বিচ্যুতি ঘটিয়ে বাংলাদেশকে ধর্মীয় রাষ্ট্রে পরিণত করার কোনো নৈতিক অধিকার কারো নেই।’
সাক্ষাৎকারের শেষাংশে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রসঙ্গেও মন্তব্য করেন সাঈদ খান। তিনি বলেন, ‘সরকারকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে—ড. ইউনূস তার দেওয়া প্রতিশ্রুতি কতটা বাস্তবায়ন করতে পারবেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে এ নিয়ে এখন আর কোনো বড় বাধা বা প্রতিবন্ধকতা নেই।’
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=B7QH6UM5xhg
রাকিব