
সিরাজগঞ্জে গরু চুরির সময় খামারিকে হত্যা ও তার নাতিকে বস্তাবন্দি করে পালিয়ে যাওয়া আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
শনিবার রাতে সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় একটি ষাড় বাছুর উদ্ধার করা হয়। রবিবার (২২ জুন) দুপুরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. একরামুল হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, সিরাজগঞ্জের মো. ইউসুফ আলী (৩০) ও মো. আ. মালেক (২৭), টাঙ্গাইল জেলার মো. শাহ আলম (৪১), মো. হাসান মন্ডল (২৬), মো. আমির হোসেন (৪৪), মো. শাহিদ ওরফে সাঈদ (৪২) এবং মো. ইসমাইল ব্যাপারী (৫৫)।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশ সুত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তার হওয়া ৭জনই আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তারকৃতরা জানান, একটি সংঘবদ্ধ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ডাকাতি করেন। ঘটনার দিন রাতে দুটি নৌকায় ১৭-১৮ জন সদস্য নিয়ে তারা চরে যান। সেখানে পৌঁছে ১১-১২ জন সদস্য ছাপড়ায় প্রবেশ করে ঘুমন্ত তারা মিয়া ও তার নাতিকে বেঁধে ফেলেন। পরে তিনটি গরু নিয়ে পালিয়ে যান এবং সেগুলো পুংলী ঘাটে বিক্রি করে মোট ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা আদায় করেন। ডাকাত দলের সদস্যরা পরবর্তীতে জনপ্রতি ৫ হাজার টাকা করে ভাগ করে নেন।
সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. ফারুক হোসেন বলেন, ঘটনার পর থেকেই আমরা ডাকাতদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছিলো। অবশেষে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি তারা আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ঘটনাটি ঘটে গত ২০ মে গভীর রাতে চৌহালী উপজেলার যমুনার দুর্গম যমুনার চরাঞ্চলে তারা মিয়া (৬৫) নামে এক খামারিকে হাত, পা, মুখ বেঁধে হত্যা করে তিনটি গরু লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতদল। এ সময় ওই খামারির নাতি ইব্রাহিম খলিলকে (১৮) বস্তাবন্দি করে ফেলে রেখে যান তারা। এ ঘটনায় পরদিন চৌহালী থানায় একটি হত্যা ও ডাকাতির মামলা দায়ের করা হয়।
Jahan