ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৩ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২

খাগরিয়া বাসীর দুঃখ বটতল ব্রিজ

খাগরিয়া ভরা শঙ্খের উপর বটতল ব্রিজ নির্মাণ কাজ দীর্ঘ ৩ বছরেও শেষ হয়নি

মো. দেলোয়ার হোসেন, চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম

প্রকাশিত: ১৮:৩০, ২২ জুন ২০২৫

খাগরিয়া ভরা শঙ্খের উপর বটতল ব্রিজ নির্মাণ কাজ দীর্ঘ ৩ বছরেও শেষ হয়নি

ছবি:সংগৃহীত

উপজেলার খাগরিয়া ভরা শঙ্খের উপর নির্মাণাধীন বটতল ব্রিজের কাজ দীর্ঘ ৩ বছরেও শেষ হয়নি। খাগরিয়া বাসীর দুঃখ—ভরা শঙ্খের উপর বটতল ব্রিজ। বর্ষা মৌসুম এলেই এপ্রোচ সড়কে বৃষ্টির পানি প্রবাহিত হওয়ার কারণে বিভিন্ন সময়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।

স্থানীয় প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১ কোটি ৭৪ লক্ষ ৪৬ হাজার ৫৬৫ টাকা বরাদ্দ দিয়ে দেওয়ানহাট-খাগরিয়া ভোর বাজার জিসি সড়কে ভরা শঙ্খের উপর বটতল ব্রিজ নির্মাণ কাজের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়। ২০ মিটার ব্রিজটি নির্মাণের জন্য ১ কোটি ৯২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও ‘এ আলী এন্টারপ্রাইজ’ নামক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কম মূল্যে নির্মাণ কাজ নিয়ে বিপাকে পড়ে। পরবর্তীতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে না পারায় কাজের টেন্ডার বাতিল করা হয়।

ভরা শঙ্খের উপর বক্স কালভার্ট ভেঙ্গে ২০ মিটার ব্রিজটি নির্মাণ হলে খাগরিয়া বাসীর দুঃখ দূর হবে। এ ব্রিজ দিয়ে খাগরিয়া ভোর বাজার, নুরু মার্কেট, মজিদার পাড়া, আমিরখীলসহ বিভিন্ন এলাকার শিক্ষার্থীরা খাগরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, খাগরিয়া মজিদার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আকতারিয়া মাদরাসা, জমিদার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, প্রফেসর আহমদুর রহমান মেমোরিয়াল স্কুল, শাহ আমানত সোসাইটি স্কুল, আয়েশা খাতুন-এ্যানুমিয়া হেফজখানা ও এতিমখানা, পশ্চিম পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, এমদাদুল উলুম মাদরাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে থাকে।

এছাড়াও প্রতিদিন ঐ এলাকার ১০ হাজারের অধিক মানুষ দোহাজারী সদর, চট্টগ্রাম শহর, বিভিন্ন হাসপাতালসহ সরকারি অফিস-আদালতে যাতায়াত করে থাকে। খাগরিয়া এলাকার শঙ্খ নদীর তীরবর্তী হওয়ায় প্রচুর পরিমাণ শাক-সবজি উৎপাদিত হয়। এসব এলাকায় উৎপাদিত সবজি দোহাজারী বা চট্টগ্রাম শহরে নিয়ে যেতে কৃষকদের প্রচণ্ড ভোগান্তির শিকার হতে হয়। ঐসব এলাকায় ৩০ হাজারের অধিক লোকজন বসবাস করে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম রাহী।

তিনি বলেন, “দীর্ঘ ৩ বছর সময় ধরে এ ব্রিজটি নির্মাণ না হওয়ায় এলাকাবাসীর দুঃখের সীমা নেই। বর্ষা মৌসুম এলেই এপ্রোচ সড়ক কাদাময় হয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। সাধারণ মানুষ পায়ে হেঁটে কোনোভাবে চলাচল করতে পারলেও যানবাহন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। কোনো কারণে বৃদ্ধ বা রোগীকে হাসপাতালে নিতে হলে কষ্টে পড়তে হয় এ এলাকার মানুষকে।”

তাই তিনি জরুরিভাবে ব্রিজ নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

উপজেলা প্রকৌশলী সবুজ কুমার দে বলেছেন, প্রথম ঠিকাদার কাজ ফেলে চলে যাওয়ার কারণে টেন্ডার বাতিল করে অন্য ঠিকাদার দিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। ব্রিজ নির্মাণে মূল বরাদ্দ ১ কোটি ৭৪ লক্ষ ৪৬ হাজার ৫৬৫ টাকায় কাজ শেষ করতে আরও এক মাস সময় লাগবে বলে তিনি জানান। ইতোমধ্যে ৮০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং বাকি কাজ বৃষ্টির কারণে সময় নিচ্ছে বলে জানান তিনি। বৃষ্টির কারণে এপ্রোচ সড়কের কালভার্ট ভেঙ্গে পড়েছে।
 

মারিয়া

×