
ছবি: সংগৃহীত
রবিবার ইরানের সময় ভোররাতে যুক্তরাষ্ট্র তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানোর পর বিশ্বজুড়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই Truth Social-এ প্রথম হামলার বিষয়টি ঘোষণা করেন। এরপর থেকেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র উদ্বেগ ও ভিন্ন ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
সমর্থনে ইসরায়েল
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এক বিবৃতিতে বলেন, “আপনাকে অভিনন্দন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় আঘাত হানার এই সাহসী সিদ্ধান্ত ইতিহাস বদলে দেবে।”
তিনি আরও বলেন, “বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক সরকারকে সবচেয়ে বিপজ্জনক অস্ত্র থেকে বিরত রাখতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছেন।”
জাতিসংঘের গভীর উদ্বেগ
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস জানান, “যুক্তরাষ্ট্রের এই হামলা বিপজ্জনক মাত্রায় উত্তেজনা বাড়িয়েছে। এতে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে।”
তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে আমাদের সবচেয়ে প্রয়োজন কূটনৈতিক সমাধান ও শান্তির পথ অনুসরণ করা। যুদ্ধের কোনো সমাধান নেই, কেবল শান্তিই আমাদের ভবিষ্যৎ।”
ভেনিজুয়েলার কড়া নিন্দা
ভেনিজুয়েলার পররাষ্ট্র মন্ত্রী ইয়াভান গিল বলেন, “ইসরায়েলের চাপে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ফোর্ডো, নাটানজ ও ইসফাহান পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা বর্ষণ করেছে— আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।”
তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে "সামরিক আগ্রাসনের" অভিযোগ তুলেছেন এবং অবিলম্বে এই হামলা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।
মেক্সিকোর শান্তির আহ্বান
মেক্সিকো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমরা কূটনৈতিক সংলাপ ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানাই। মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা নিরসনে সকল পক্ষকে শান্ত থাকার অনুরোধ করছি।”
কিউবার তীব্র প্রতিবাদ
কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ-কানেল বলেন, “এই হামলা শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, গোটা মানবজাতিকে এক অচল সংকটে ঠেলে দিচ্ছে। এটি আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘ সনদের সরাসরি লঙ্ঘন।”
যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক হামলার ঘটনায় বিশ্বজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ সমর্থন করছে, কেউ আবার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। তবে, একটি বিষয়ে সবাই একমত—এই সংঘাত যদি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে না আনা হয়, তাহলে তা বিশ্বব্যাপী ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে।
মুমু ২