ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২

নকল ঠেকাতে চীনের নতুন পরীক্ষা কৌশল

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৭:৩৬, ২২ জুন ২০২৫

নকল ঠেকাতে চীনের নতুন পরীক্ষা কৌশল

ছবি: সংগৃহীত

চীনের বিখ্যাত কলেজ ভর্তি পরীক্ষা 'গাওকাও'–এর সময় পরীক্ষায় চিটিং ঠেকাতে এবার নজিরবিহীন পদক্ষেপ নিল চীনা সরকার। পরীক্ষার সময় দেশের প্রধান এআই প্ল্যাটফর্মগুলোর নির্দিষ্ট কিছু ফিচার সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়, যাতে শিক্ষার্থীরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে প্রশ্নের উত্তর না খুঁজে পায়।

গাওকাও কী?
গাওকাও (Gaokao), এটি চীনের জাতীয় কলেজ ভর্তি পরীক্ষা। প্রতিবছর জুন মাসে অনুষ্ঠিত এই পরীক্ষায় অংশ নেয় প্রায় ১ কোটিরও বেশি শিক্ষার্থী। চলতি বছরে অংশ নিয়েছে প্রায় ১.৩ কোটি শিক্ষার্থী। এই পরীক্ষার ফলাফলের উপর নির্ভর করে শিক্ষার্থীরা কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারবে তা নির্ধারিত হয়।

কীভাবে ঠেকানো হলো চিটিং?
চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে দেশটির প্রযুক্তি জায়ান্ট টেনসেন্ট (Tencent) ও ডিপসিক (DeepSeek) তাদের এআই অ্যাপে ছবি আপলোড এবং প্রশ্ন বিশ্লেষণের মতো ফিচার পরীক্ষার সময় বন্ধ করে দেয়। পরীক্ষার্থী কেউ যদি প্রশ্নের ছবি তুলে এআইতে আপলোড করার চেষ্টা করে, তাহলে "এই ফিচার এখন পাওয়া যাচ্ছে না" এমন বার্তা দেখানো হয়।

চীনের স্কুলগুলোতে সাধারণত ড্রোন, মোবাইল সিগন্যাল ব্লকার, ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি এবং মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে চিটিং প্রতিরোধ করা হয়। তবে এআই বন্ধ করার মতো বড় পদক্ষেপ এবারই প্রথম।

নেট দুনিয়ার প্রতিক্রিয়া
চীনের এই পদক্ষেপ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে চলছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
একজন ইউরোপে মাস্টার্স পড়ুয়া ছাত্র লিখেছেন, “এই পদক্ষেপ জরুরি ছিল। আমার ৬০% সহপাঠী প্রতিদিনই নকল করে।”
অন্য একজন লেখেন, “শুধু ফোনগুলো সরিয়ে নিলেই হতো, এত খরচের দরকার ছিল না।”
আরেকজন ইনস্টাগ্রামে মন্তব্য করেন, “১৩ মিলিয়ন শিক্ষার্থী যখন সীমিত সিটের জন্য লড়ছে, তখন এই ধরনের পদক্ষেপ খুবই যৌক্তিক।”

চীনের এই পদক্ষেপ বিশ্বের শিক্ষা ব্যবস্থায় নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে, যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও একাডেমিক সততার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করাটা হয়ে উঠছে এক বড় চ্যালেঞ্জ।

মুমু ২

×