
ছবিঃ সংগৃহীত
অপরিচালিত বিস্ফোরকের ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করতে একটি গ্রাফিক প্রকাশ করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
ইসরায়েলের অভিযোগ, ইরান একটি ক্লাস্টার বোমার ওয়ারহেডযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র একটি বেসামরিক এলাকায় নিক্ষেপ করেছে। ক্ষেপণাস্ত্রটি ২৩,০০০ ফুট (৭ কিলোমিটার) উচ্চতায় পৌঁছানোর পর ছোট ছোট বোমা (বম্বলেট) ছড়িয়ে দিতে শুরু করে। ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রটি অন্তত ২০টি বম্বলেট ৮ কিলোমিটার ব্যাসার্ধ জুড়ে ছড়িয়ে দেয়।
ক্লাস্টার মিউনিশন সম্পর্কে ৫টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
* ইসরায়েলের আজোর শহরে একটি ছোট বোমা একটি বাসায় আঘাত হানে এবং কিছু ক্ষয়ক্ষতির সৃষ্টি করে বলে *টাইমস অব ইসরায়েল* জানিয়েছে। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
* ক্লাস্টার বোমা বিতর্কিত, কারণ এটি এলোমেলোভাবে বিস্ফোরক উপাদান ছড়িয়ে দেয়, যার অনেকগুলো তাৎক্ষণিকভাবে বিস্ফোরিত না হয়ে যুদ্ধশেষেও প্রাণঘাতী হয়ে থাকে।
* ২০০৮ সালে ক্লাস্টার বোমার উৎপাদন, মজুদ, হস্তান্তর ও ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি সই হয়, যাতে ১১১টি দেশ এবং ১২টি অন্যান্য প্রতিষ্ঠান স্বাক্ষর করে। তবে ইরান ও ইসরায়েল এই চুক্তিতে সই করেনি।
* দীর্ঘ বিতর্কের পর যুক্তরাষ্ট্র ২০২৩ সালে ইউক্রেনকে রাশিয়ান বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য ক্লাস্টার মিউনিশন সরবরাহ করে। কিয়েভ দাবি করে, রাশিয়ান বাহিনীরাও ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করছে।
* আর্মস কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী পরিচালক ড্যারিল কিমবল *রয়টার্স*কে বলেন, “বেসামরিক এলাকায় ব্যবহৃত হলে এই ধরনের বিস্তৃত ধ্বংসক্ষম অস্ত্র মারাত্মক হতে পারে এবং যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে অপরিচালিত বিস্ফোরকের সংখ্যাও বাড়াতে পারে।”
মুমু