
ছবি: জনকণ্ঠ
গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী মো. সামিউল ইসলাম। কম খরচে অভিনব সব যন্ত্র আবিষ্কার করে জেলা জুড়ে এরইমধ্যে আলোচনা উঠেছেন তিনি।
সম্প্রতি তিনি তৈরি করেছেন একটি রোবট চিকিৎসক। যার নাম দিয়েছেন ডা. নীলা। একজন মানুষ চিকিৎসকের মতো ডা. নীলা চিকিৎসা দিচ্ছেন গ্রামের মানুষদের।স্বাভাবিক চিকিৎসকের মতো জিজ্ঞেস করছেন রোগীর নাম ও রোগ। দিচ্ছেন সেই অনুযায়ী ওষুধসহ যাবতীয় পরামর্শ।
সামিউলের তৈরি রোবট চিকিৎসক ডা. নীলা প্রথম সাক্ষাতে রোগীর সাথে হাত মেলাচ্ছেন তারপর রোগীর নাম ও রোগের ধরন জিজ্ঞেস করে দিচ্ছেন চিকিৎসা। মনোযোগ দিয়ে শুনছেন রোগীর কথা।বিভিন্ন এলাকা থেকে ডা. নীলাকে দেখতে ও চিকিৎসা সেবা নিতে আসছেন মানুষ।
সামিউলের এমন অভিনব আবিষ্কার সাফল্যে খুশি ও গর্বিত তার পরিবার ও স্থানীয়রা। স্বল্প খরচে অতি প্রয়োজনীয় ও সময় উপযোগি বিভিন্ন আবিষ্কারে তাকে সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা করলে দেশ ও জন মানুষের উপকার হবে বলে জানান তারা।
সামিউল ইসলামের বাবা মো. শফিকুল ইসলাম জানান, সামিউল মানুষের প্রয়োজনীয় দামি যন্ত্র কম দামে বানানোর চেষ্টা করে আসছে। এরইমধ্যে বেশকিছু যন্ত্র আবিষ্কার করেছে। ছেলের এমন আবিষ্কারে আমি অনেক খুশি।
স্থানীয় বাসিন্দা জামাল জানান, গ্রামের মানুষ বাড়ি থেকে বিশ্বমানের চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে। এ রকম রোবট বানাতে সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা পেলে চিকিৎসা সেবায় অনেক পরির্বতন আসবে।
মো. সামিউল ইসলাম জানান, চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন থাকলেও তা না হতে পেরে মানুষের সেবায় চিকিৎসক রোবট বানিয়েছেন তিনি। এই রোবট চিকিৎসক মানুষের জ্বর, ডায়াবেটিস পরিমাপসহ সব ধরনের চিকিৎসা দিবে। ২০টির অধিক বিভিন্ন রোগের পরীক্ষা-নিরিক্ষাসহ রোগীকে দিবে চিকিৎসা সেবা।
সামিউল মহদীপুর ইউনিয়নের পূর্ব গোপালপুর গ্রামের মো. শফিকুল ইসলামের ছেলে। বাজারে দামের চেয়ে অধিক কম খরচে তেল, বিদ্যুৎ ছাড়া সৌর শক্তি এবং কায়িক শ্রমকে কাজে লাগিয়ে সাশ্রয়ী মূল্য মানুষের প্রয়োজনীয় প্রায় ৩০টি যন্ত্র বা ডিভাইস তৈরি করেছেন তিনি।
শিহাব