
ছবিঃ সংগৃহীত
ইসরায়েল-ইরান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততা নিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন, ঠিক সে সময় যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত ইরান-সমর্থিত অপারেটিভদের ওপর নজরদারি বাড়িয়েছে এফবিআই। ফক্স নিউজকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন একজন জ্যেষ্ঠ আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই ট্রাম্প এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
সিবিএস নিউজের বরাতে জানা গেছে, এই নজরদারির আওতায় রয়েছে ইরান-সমর্থিত লেবাননভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন হিজবুল্লাহর ঘুমিয়ে থাকা (স্লিপার সেল) সদস্যদের কার্যকলাপও। এদিকে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ হিজবুল্লাহকে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন, যেন তারা এই সংঘাতে জড়িত না হয়।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, ইরান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে। তিনি বলেন, “তারা তাঁকে হত্যা করতে চায়। কারণ তিনি তাদের পারমাণবিক কর্মসূচির জন্য বড় হুমকি। ট্রাম্প কখনো দুর্বলতা দেখাননি, বরং অন্যদের মতো ইরানের সঙ্গে দরকষাকষির পথে না গিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন।”
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট জানান, ট্রাম্প এখনো যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি সম্পৃক্ততা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেননি। তবে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই সিদ্ধান্ত দেবেন বলে জানিয়েছেন।
তবে প্রেসিডেন্টের এই সম্ভাব্য সিদ্ধান্ত নিয়ে মার্কিন রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ যুদ্ধ এড়িয়ে চলার আহ্বান জানাচ্ছেন, আবার অনেকে বলছেন, মার্কিন স্বার্থ রক্ষায় অংশগ্রহণ অপরিহার্য।
এদিকে, মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইউএসএস নিমিটজ বিমানবাহী রণতরী দক্ষিণ চীন সাগর থেকে যাত্রা করে এ সপ্তাহান্তে মধ্যপ্রাচ্যে পৌঁছাবে। সেখানে ইতোমধ্যে ইউএসএস কার্ল ভিনসন মোতায়েন রয়েছে। ফলে একসাথে দুটি মার্কিন বিমানবাহী রণতরী মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থান করবে।
সূত্রঃ foxnews.com
নোভা