
ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরান ইস্যুতে একদিকে শান্তির বার্তা দিচ্ছেন, অন্যদিকে ইঙ্গিত দিচ্ছেন সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেই-কে হত্যারও। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি একটি বিপজ্জনক খেলা যা বিশ্বকে একটি ‘বিপর্যয়কর’ যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
ট্রাম্প সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছেন, ইসরায়েলের ইরান অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের অংশগ্রহণ বিষয়ে তিনি দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে তার বক্তব্যে স্পষ্ট পরিকল্পনার অভাব লক্ষ্য করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্লেষণ বলছে, হয়তো ট্রাম্প ইরানকে ভয় দেখিয়ে পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করাতে চাচ্ছেন। আবার অনেকের মতে, তিনি আসলে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর ‘চাপের মুখে’ যুদ্ধের দিকে ধাবিত হচ্ছেন।
ইসরায়েল ইতিমধ্যে ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, পারমাণবিক স্থাপনা, সামরিক অবকাঠামো এবং তেল স্থাপনায় আঘাত হেনেছে। এতে শত শত ইরানীয় নিহত হয়েছেন। ইরান পাল্টা হামলায় ইসরায়েলের ২৪ জন নাগরিককে হত্যা করেছে।
বিশ্লেষক নেগার মোরতাজাভি বলেন, “ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারে শান্তির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কিন্তু এখন তার আচরণ উল্টো। তিনি একদিকে কূটনৈতিক আলোচনার কথা বলছেন, আবার অন্যদিকে যুদ্ধের হুমকি দিচ্ছেন।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, ইরান যদি হামলার শিকার হয়, তাহলে এটি ইরাক-আফগান যুদ্ধের চেয়েও বেশি ধ্বংসাত্মক হতে পারে। ইরান ৯ কোটির বেশি জনসংখ্যার একটি বিশাল দেশ — যার পতন ভয়াবহ গৃহযুদ্ধ ও শরণার্থী সংকট তৈরি করতে পারে।
DAWN মানবাধিকার গোষ্ঠীর পরিচালক সারাহ লিয়া হুইটসন বলেন, “ট্রাম্প যদি কেবল চাপ সৃষ্টি করতে চায়, তবুও এই উস্কানিমূলক বক্তব্য বিশ্বকে আগুনে ফেলে দিচ্ছে। এমনকি বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্তও পরিস্থিতি পৌঁছাতে পারে।”
মুমু ২