
ছবি: সংগৃহীত
ইরানের টানা হামলায় কোণঠাসা হয়ে পড়েছে ইসরায়েল। এমন দৃশ্য দেখে উল্লসিত মধ্যপ্রাচ্যের বহু দেশের মানুষ। বিশেষ করে ফিলিস্তিন, লেবানন, ইরাকসহ অনেক দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে দেখা গেছে স্বস্তি আর আনন্দের বহিঃপ্রকাশ। কেউ কেউ তো রাস্তায় নেমেই মেতে উঠেছেন উচ্ছ্বাসে।
ইরানের ব্যালিস্টিক মিসাইলগুলো যখন ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে আঘাত হানে, সেই দৃশ্য উপভোগ করতে বহু মানুষ ভিড় করছেন উঁচু ভবনের ছাদে বা খোলা জায়গায়। একেকটি বিস্ফোরণ মানেই হাততালি আর উল্লাস। যেন দীর্ঘদিনের দমন-পীড়নের জবাব পাচ্ছে তারা চোখের সামনেই।
ফিলিস্তিনের তরুণরা রাস্তায় নেমে উড়াচ্ছেন পতাকা, বাজাচ্ছেন ঢোল। আনন্দযাত্রা চলছে বোমার খোলস হাতে নিয়েই। তাদের চোখে মুখে হাসি, ভেতরে জমে থাকা ক্ষোভ যেন বেরিয়ে আসছে উল্লাসে।
লেবাননে চলছে ভিন্ন চিত্র। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের বিকট শব্দের সঙ্গে সেক্সোফোনের মিউজিক মিশে এক ধরনের প্রতিরোধী সংস্কৃতির জন্ম দিয়েছে। সেখানে নাচ-গান আর স্লোগানে মুখরিত চারপাশ। প্রতিবাদ যেন রূপ নিয়েছে উৎসবে।
ইরাক, মিশর, জর্দানসহ বহু দেশেই সাধারণ মানুষ খোলাখুলি বলছেন—ইসরায়েল যা করেছে, আজ তারই ফল ভোগ করছে। তারা বলছেন, এই যুদ্ধ শুরু করেছিল ইসরায়েল, শেষত তাদেরই হার হবে। অনেকে আবার বলছেন, আকাশ থেকে ভূমি সবই এবার ইরানের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে।
তবে এর মধ্যেও কিছু মানুষ শঙ্কিত। তারা ভাবছেন, ইসরায়েলের প্রতিশোধের নিশানা এবার হয়তো তাদের দেশ হতে পারে। তবু আপাতত মধ্যপ্রাচ্যের বহু শহরে যেন উৎসবের আবহ। ইরানের প্রতি সমর্থন, আর ইসরায়েলের বিপর্যয়ে একরকম বিজয়ের আনন্দ।
চলমান এই যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে দ্বিতীয় সপ্তাহেও। ইরান একের পর এক পাল্টা আঘাতে বুঝিয়ে দিচ্ছে ইসরায়েলের আগ্রাসনের জবাব তারা দিতেই জানে। ইসরায়েলের ‘অজেয়’ ভাবমূর্তি আজ টালমাটাল। আর তা দেখে বহু নিপীড়িত জনগোষ্ঠীর চোখে ফুটে উঠেছে আশা, জেগে উঠেছে প্রতিরোধের নতুন প্রেরণা।
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/IIAWolQ7ges?si=Mnj1Dn-sC-4IJClz
এম.কে.