
ছবি: সংগৃহীত
স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৩ জুন) মধ্যরাতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ইরানের রাজধানী তেহরান। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবর অনুযায়ী, দেশটির সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে ইসরায়েল হামলা চালিয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, তেহরানে একসঙ্গে ছয়টি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। তবে এখনো কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনার পরই তেহরানের ইমাম খামেনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাময়িকভাবে বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ইরানের প্রতিরক্ষা বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে।
ইসরায়েলও নিশ্চিত করেছে যে তারা ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। এই অভিযানে অংশ নেয় বহু যুদ্ধবিমান। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জানালেন, তেহরানে এ হামলা ছিল আগাম প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা। প্রয়োজন হলে আরও হামলা চালানো হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
পাল্টা হামলার আশঙ্কায় ইসরায়েলের অভ্যন্তরে জরুরি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। রাত ৩টা থেকে দেশজুড়ে স্কুল, অফিস ও যেকোনো সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরিবর্তন আনা হয়েছে প্রতিরক্ষা নীতিতেও। শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবাগুলো চালু রাখা হয়েছে।
এদিকে, এই হামলায় যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি জড়িত নয় বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তবে হামলার কয়েক ঘণ্টা আগেই ইরানে সম্ভাব্য হামলার ইঙ্গিত দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একইসঙ্গে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যেও এমন আশঙ্কার কথা উঠে আসে।
এই ঘটনার পর মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ছে। যুক্তরাষ্ট্র হামলায় সরাসরি অংশ না নিলেও তাদের সব সেনাঘাঁটিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/gLKv2pbdR2U?si=xP4_MjAPA8g9agqH
এম.কে.