ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২

ইজরায়েল থেকে বিতাড়িত হলেন গ্রেটা থুনবার্গ: ফ্রান্স হয়ে সুইডেনে ফিরলেন

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:৪১, ১০ জুন ২০২৫

ইজরায়েল থেকে বিতাড়িত হলেন গ্রেটা থুনবার্গ: ফ্রান্স হয়ে সুইডেনে ফিরলেন

ছবি: সংগৃহীত

জলবায়ুকর্মী গ্রেটা থুনবার্গকে ইজ়রায়েল থেকে বার করে দিল ইজরায়েল সরকার। গাজায় যুদ্ধবিধ্বস্ত মানুষের জন্য ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে যাওয়া নৌকা ‘মাদলীন’ ইজরায়েলি নৌবাহিনীর দ্বারা আটক হওয়ার পর তার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ৬ জুন সিসিলি থেকে যাত্রা শুরু করা ওই নৌকা গাজার উপকূল থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে সোমবার ভোরে ইজরায়েলি বাহিনী আটক করে।

ইজরায়েলের বিদেশ মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার জানিয়েছে, গ্রেটা ফ্রান্সের একটি বিমানে করে এখন সুইডেনে ফিরছেন। মন্ত্রণালয় এক্স (সাবেক টুইটার)-এ গ্রেটার বিমানের ছবি পোস্ট করেছে।

গ্রেটাসহ ১২ জনের প্রতিনিধি দলের মধ্যে দুই জন সমাজকর্মী এবং এক জন সাংবাদিকও আছেন। আদালাহ নামের মানবাধিকার সংগঠন ইজরায়েলের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালাচ্ছিল। তবে গ্রেটা এবং তিন জন দেশ থেকে বিতাড়নে সম্মত হয়ে গিয়েছেন। বাকী আট জন এখনও আটক রয়েছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে ৯৬ ঘণ্টা পর্যন্ত আটক রেখে পরবর্তীতে দেশ থেকে বিতাড়নের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।

আটকদের মধ্যে ছয়জন ফরাসি নাগরিক রয়েছেন, যাদের মধ্যে আছেন ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য রিমা হাসান, কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা-এর সাংবাদিক ওমর ফায়াদ এবং ফরাসি অনলাইন সংবাদমাধ্যম Blast-এর সাংবাদিক ইয়ানিস মুহামদি। BBC জানিয়েছে, ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাঁ-নোয়েল বারো এক্স (সাবেক টুইটার)-এ লিখেছেন,“আমাদের কনসাল আটক ছয়জন ফরাসিকে দেখা করেছেন। তাঁদের মধ্যে একজন সই করে দেশে ফিরেছেন, বাকি পাঁচজন এখন বিচারিক প্রক্রিয়ায় রয়েছেন।”

FFC এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যারা বহিষ্কারে রাজি হননি, তাঁদের রামলে শহরের একটি আটক কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সংস্থাটি দাবি করে, “এই আটক অবৈধ এবং আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। আমরা সকল স্বেচ্ছাসেবককে মুক্তি ও জব্দ করা সহায়তা অবিলম্বে ফেরত দেওয়ার দাবি জানাই।”

গ্রেটার সঙ্গে থাকা ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য রিমা হাসান, যিনি প্যালেস্টাইন বংশোদ্ভূত, ইজরায়েলে প্রবেশ করতে পারেননি। তার অবস্থান সম্পর্কে এখনও স্পষ্ট তথ্য জানা যায়নি।

ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন নামের সংগঠন গাজায় ত্রাণ পৌঁছে দেওয়াই মূল উদ্দেশ্য ছিল। তারা বলেছে, গাজায় ইজরায়েলের আগ্রাসনের প্রতিবাদে এই যাত্রা করা হয়েছে। তবে ইজরায়েল বলেছে, তারা গাজার জন্য বৈধ ব্লকেড কার্যকর করছে এবং নৌকাটি সেই ব্লকেড ভঙ্গ করতে চেয়েছিল।

মানবাধিকার সংস্থা আদালাহ জানিয়েছে, নৌকাটি আন্তর্জাতিক জলসীমায় ছিল, তাই ইজরায়েলের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি। ইজরায়েলি সরকার তাদের দাবিকে মানেনি এবং বলেছে, নৌকাটি ইজরায়েলের ব্লকেড লঙ্ঘন করার চেষ্টা করছিল।

এই ঘটনা ইজরায়েলের গাজা ব্লকেড, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও পরিবেশ আন্দোলনের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়েছে। ফ্রিডম ফ্লোটিলা তাদের অভিযান অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

Mily

আরো পড়ুন  

×